আইনি সমস্যায় আমির!
হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে নির্মিত হলেও তাতে জড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় মূল্যবোধ। ১১ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর আইনি সমস্যার সম্মুখীন হল ‘লাল সিংহ চড্ডা’। কলাকুশলী থেকে ছবির সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘অসম্মান করা’ এবং হিন্দুদের অনুভূতিতে ‘আঘাত করা’র অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ছবিতে আমির অভিনীত লাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তার ক্রিয়াকলাপ দেশের আইনের চোখে ‘অসঙ্গত’ বলে দাবি করলেন বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবী। পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অসম্মান’ করেছে এই ছবি, এমনটাই অভিযোগ জানান বিনীত জিন্দাল। দিল্লি পুলিশের কাছে দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি দেওয়া (১৫৩), বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা (১৫৩ক), কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা (২৯৮)-র মতো ধারায় এফএইআর দায়ের করেছেন তিনি।
প্রযোজক প্যারামাউন্ট পিকচার্স এবং আমির খান থেকে শুরু করে পরিচালক অদ্বৈত চন্দন— সকলের নামেই মামলা ঠোকা হয়েছে এই মর্মে। আইনজীবীর অভিযোগে এ-ও লেখা আছে যে, ‘নির্মাতারা এক জন মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠিয়েছেন— যেটা বাস্তবে সম্ভব নয়। এই অবস্থায় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হল, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, কঠোর ভাবে প্রশিক্ষিত সেনা ছাড়া কেউ সীমান্তে যেতে পারেন না। অতএব, নির্মাতারা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদনাম করছেন।’
শুধু তা-ই নয়, ‘ধর্মীয় অনুভূতি’তে আঘাত আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সেই আইনজীবীর। একটি দৃশ্যে পাকিস্তানি কর্মী যখন লাল সিং চড্ডাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘‘আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি, লাল, আপনি কেন তা করেন না?’’ সেখানে লালের উত্তর, ‘‘আমার মা বলেছেন, এই সব পূজাপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।’’আইনজীবীর বক্তব্য, এটি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে মানহানিকর বিবৃতি। এতেই আরও দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বরং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy