শুভ শক্তি, তার প্রভাব, আধ্যাত্মিক ভাবনা চিন্তা— অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় মনে প্রাণে ঈশ্বর বিশ্বাস করেন। এ কথা বহু বার স্বীকারও করেছেন অভিনেতা। বৃহস্পতিবার গুরুপূর্ণিমা। বিশেষ দিনে জীবনে ‘মাতারানি’র প্রভাবের কথাই বললেন তিনি। বছরে একাধিক বারও বৈষ্ণোদেবীর দর্শন করতে গিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ ছাড়া জীবনের কোনও সিদ্ধান্তই নাকি নেন না ভাস্বর।
আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেতা বললেন, “জীবনের আসল গুরু অবশ্যই মা-বাবা। মা-কে হারিয়েছি। কিন্তু বাবা রয়েছেন। ওঁর আশীর্বাদ না থাকলে তো এগিয়ে যেতেই পারতাম না। কিন্তু এই বিশেষ দিনে আমি আর এক জনের কথা বলতে চাই। তিনি সকলের মা।”
‘মাতারানি’র উপস্থিতি, নানা পরিস্থিতিতে নাকি উপলব্ধি করেছেন অভিনেতা। তিনি বিশ্বাস করেন, ছায়ার মতো মা বৈষ্ণোদেবী তাঁর সঙ্গে থাকেন। অনেক অলৌকিক ঘটনাও ঘটেছে অভিনেতার সঙ্গে। তিনি বললেন, “ভাই দেবদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং মাতারানির নির্দেশ ছাড়া আমি কিছু করি না। কোন সময় ঘুরতে যাওয়া ঠিক হবে, কোনও কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলেও মাতারানির সহায় হই।”
তবে নিজেকে খুব বেশি কড়া নিয়মে বাঁধেননি ভাস্বর। এমন কোনও নিয়ম নেই যে, সপ্তাহের কোনও বিশেষ দিনে নিরামিষ খেতেই হবে। অভিনেতা বললেন, “বছরে চারটি নবরাত্রি হয়। সেটাই আমি মেনে চলি। আর কিছু নয়। মায়ের অলৌকিক শক্তির একটা ঘটনা বলতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে। কোনও এক নভেম্বরে প্রথম বৈষ্ণোদেবী গিয়েছিলাম আমি।” সেই প্রথম দেবী দর্শন তাঁর। উঁচুতে উঠতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল ভাস্বরের। তিনি বললেন, “হাঁপিয়ে পাহাড়ের পাশেই বসে পড়েছিলাম আমি। ভাইকে বলেছিলাম উঠে যেতে। ভেবেছিলাম ফিরে আসব। তখন কোথা থেকে এক ব্যক্তি আসেন। এসে জানতে চান আমি কেন যাচ্ছি না!” শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আর উঠতে চাননি ভাস্বর। অভিনেতা বললেন, “যে ভদ্রলোক এসে আমায় প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর পায়ের সমস্যা ছিল। আমায় বললেন, ‘আমি এই পা নিয়ে উঠতে পারলে তুমি কেন পারবে না?’ ওঁর কথা শুনে আমি দেবীর মন্দিরে পুজো দিই। কিন্তু তার পর আর সেই ব্যক্তির দেখা পাইনি।” বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেই ‘বাবা লোকনাথ’ ধারাবাহিকে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।