ভিডিয়োটি ভাইরাল। শুরুতে কপালে হলুদ রঙের প্রলেপ। যেন জ্যোতি ঠিকরোচ্ছে। মুখের বাকি অংশ থেকে গলা, ঘাড় হয়ে হাত, হাতের আঙুল কুচকুচে কালো। কেবল রক্তবর্ণ ঠোঁট। পরচুলা, নাকে নথ, গা-ভর্তি গয়না দিয়ে সাজ শেষ হতেই রূপটানশিল্পী উল্লসিত, “ফাটাফাটি দেখাচ্ছে!” সমাজমাধ্যমে স্বামীর পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী স্ত্রী। উপস্থিত বাকিদের ফিসফাস, বাংলায় ‘পুষ্পা’র আগমন?
রবিবার, এ ভাবেই অভিনেত্রী অহনা দত্তের রূপসজ্জাশিল্পী স্বামী দীপঙ্কর রায়ের হাতে তিলে তিলে মানব থেকে দেবীতে উত্তরণ ঘটল অভিনেতার! সাজ শেষ হতেই হাতে খাঁড়া তুলে নিয়ে তাণ্ডবনৃত্য! উপস্থিত বাকিরা কিঞ্চিৎ ভীত, আবার মুগ্ধও। অভিনেতা নিজেই নিজের রূপ দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি কিছু ক্ষণ। আনন্দবাজার ডট কম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেই সে কথা গোপন রাখেননি। বলেছেন, “কতটা কী করতে পেরেছি জানি না, তবে আয়নায় নিজেকে দেখে ভাল লেগেছে।” বাস্তবে মহাদেবের ভক্ত তিনি। তাঁর কাছে, ঈশ্বর এক, রূপ অনেক। সেই অনুভূতি থেকেই তাঁর দাবি, “জানেন এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে করতে কিছু একটা শক্তি যেন ভর করে। একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়। ঠিক বলে বোঝাতে পারব না।”
অনেকে যে আপনার এই সাজে ‘পুষ্পা’র আদল খুঁজে পাচ্ছে! “কোনও প্রশ্নই নেই। কোথায় দক্ষিণী ব্লকবাস্টার ছবি কোথায় আমি! আবারও বলছি, আমি চেষ্টা করেছি মাত্র। এর বেশি কিছুই নয়।” তবে এ কথা তাঁর কানে এসেছে, সাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর তাঁর চেনা মানুষেরাই বলে উঠেছেন, “রূপটান এতটাই নিখুঁত যে পুরুষ নয়, মনে হচ্ছে কোনও অভিনেত্রীকে এই বিশেষ রূপ দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত দীর্ঘ দিন ধরেই ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন। শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে বড় পর্দায়। শ্রীচৈতন্য রূপে ধরা দেবেন। তার আগে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করতে বিশেষ রূপে দেখা দিল নায়ক ‘সূর্য’।
ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘ভজ গৌরাঙ্গ’-এর জন্য ২১ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছেন দিব্যজ্যোতি। তাঁকেই দেখা যাবে গৌরাঙ্গ রূপে। এর বাইরে কি অভিনেতার কোনও সাধ রয়েছে অভিনয়ের জন্য? দিব্যজ্যোতির দাবি, “শ্রীরামচন্দ্রের প্রতি টান অনুভব করি। ওই সাজেও নিজেকে দেখার খুব ইচ্ছে।”