কমল হাসন, রুপোলি দুনিয়ায় দক্ষিণী অভিনেতার নামই যথেষ্ট। বলিউড থেকে বাংলা— ছায়াছবির দুনিয়ায় তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। যেমন বলিষ্ঠ তাঁর অভিনয়, তেমনই দৃঢ় তাঁর ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই একরোখা মনোভাব পোষণ করেন কমল। সেই কমলকেই নাকি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁর বিয়ের কারণে।
এই মুহূর্তে কমল হাসন ব্যস্ত তাঁর আসন্ন ছবির প্রচারে। মণি রত্নমের ‘ঠগ লাইফ’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। সম্প্রতি সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই জিজ্ঞাসা করা হয়, বিবাহ বিষয়ে তাঁর মনোভাব কী? কমল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জানান এক পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা। বলেন, “প্রায় ১০-১৫ বছর আগে আমার এক বন্ধু সাংবাদিক একঝাঁক কলেজপড়ুয়া তরুণের সামনে আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হয়েও কী ভাবে আমি দু’টি বিয়ে করলাম? আমি পাল্টা জিজ্ঞাসা করি, ‘সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হওয়ার সঙ্গে বিবাহের কী যোগ?’ আর তার পরই উঠে আসে রামের প্রসঙ্গ।”
কমল জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য ওই সাংবাদিক তাঁকে বলেন, ভগবান রামের কাছে যিনি প্রার্থনা করেন, তিনি তো তাঁর পথ অবলম্বন করেই বাঁচবেন! অভিনেতা বলেন, “সে বার আমি বলেছিলাম, ‘প্রথমত আমি কোনও দেবতার কাছেই প্রার্থনা করি না। রামের পথও আমি অবলম্বন করি না। হয়তো আমি তাঁর বাবার (দশরথ) পথ অবলম্বন করি (যাঁর তিন জন মহিষীর কথা আমরা জানি)।”
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে কমল হাসন প্রথম বার বিয়ে করেন দক্ষিণী নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী বাণী গণপতিকে। পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। আশির দশকে কমলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী সারিকা। সে সময়ই ১৯৮৬ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসনের জন্ম হয়। কমল-সারিকা বিয়ে করেন ১৯৮৮ সালে। ১৯৯১ সালে জন্ম হয় দ্বিতীয় কন্যা অক্ষরার। ২০০২ সালে সারিকার সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয় কমলের। এর পর ২০০৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অভিনেতা সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী গৌতমীর সঙ্গে।