গায়ে সাদা, হলুদ ডোরাকাটা দাগ। লম্বা, মোটা সাপ গলায় জড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা ক্রুশল অহুজা। এই মুহূর্তে তাঁকে হিন্দি ধারাবাহিকে দেখছেন দর্শক। আপাতত মুম্বইয়ের বাসিন্দা নায়ক। শুটিংয়ের ফাঁকে একটু ছুটি পেতেই তিনি পাড়ি দিয়েছেন তাইল্যান্ড। ভারত থেকে খুব বেশি দূর নয়। কয়েক ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। তাই অভিনেতা, অভিনেত্রীরা সুযোগ পেলেই চলে যান তাইল্যান্ডের পাটায়া, ফুকেতের মতো সৈকতশহরে। তেমনই এই মুহূর্তে ক্রুশল ঘুরছেন তাইল্যান্ডে। সেখানেই একটি ক্লাবে সময় কাটাতে দেখা গেল অভিনেতাকে। গলায় মোটা অজগর প্রজাতির সাপ ঝুলিয়ে হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্রুশল লেখেন, “আমি জানি সাপেদের কী ভাবে সামলাতে হয়।”
অভিনেতা ক্রুশল অহুজা। ছবি: সংগৃহীত।
এই প্রথম নয়, অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তকে একই ভাবে সাপ নিয়ে ছবি তুলতে দেখেছিলেন দর্শক। টলিপাড়ার আলোচিত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তো পোষ্য সাপেদের রাখার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। কয়েক মাস আগে দিব্যজ্যোতি জানিয়েছিলেন, তিনিও সাপ পছন্দ করেন। অভিনেতা বলেছিলেন, “সৃজিতদার মতো কি না জানি না, ছোট থেকে আমার সাপ খুব পছন্দ। এক বার কিনব বলে এক বিশেষ প্রজাতির সাপ পছন্দও করে ফেলেছিলাম। মায়ের বকুনি খেয়ে শেষে আর ওই পথে হাঁটিনি।” সেই সঙ্গে অভিনেতা যোগ করেন, “কী শান্ত! খুবই ভাল। আদর করলে সাড়া দেয়। এমন প্রাণীকে কেন যে সবাই ভয় পায় কে জানে!”
অভিনেতার দাবি, মানুষ মিথ্যে রটনা ছড়িয়ে সাপকে প্রাণঘাতী আখ্যা দিয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ সাপ বিষহীন। বিষধর সাপকেও উত্ত্যক্ত বা আঘাত না করলে তারা আক্রমণ করে না। সৃজিত যদি দিব্যজ্যোতিকে পছন্দের সাপ কিনে তাঁর বাড়িতে রাখার অনুমতি দেন? “প্রস্তাব লুফে নেব”, উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। জানিয়েছেন, তাঁর স্পাইডার বল পাইথন অথবা গ্রিন টি পাইথন পোষার শখ। এর কোনও একটি কিনে স্বচ্ছন্দে সৃজিতের বাড়িতে রেখে আসবেন।