অনীক দত্ত এবং দেব। ছবি: সংগৃহীত
অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ নন্দনে দেখানোর জায়গা পাচ্ছে না। টলিউডের একাংশ সরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের বন্যা। এর মধ্যেই দেব এবং জিতের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন অভিনেতা, বাম সমর্থক দেবদূত ঘোষ। দেবদূত দুই তারকার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অনুযোগ জানিয়ে লিখেছেন, ‘অপরাজিত' নন্দনে শো পেল না! জীবিত মহানায়করা সে দিন ছোট পর্দায় বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বলছিলেন। আরে, আগে সৎ চেষ্টার (ছবি) পাশে দাঁড়ান! তার পর ঘুরে দাঁড়ানো...।’
দেব বা জিৎ কেউই কোনও জবাব দেননি। তবে এর পর একটি টুইট করেছেন সাংসদ-তারকা। সাফল্য কামনা করেছেন ‘অপরাজিত’-র। লিখেছেন, ‘অপরাজিত’ মুক্তি পেয়েছে আপনার পাশের সিনেমা হলে। সকলে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন। অনেক শুভকামনা রইল।’ দেবের এই টুইটটি অনীক ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর ফেসবুকে।
তার পরেও দেবদূত অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে একচুল সরেননি। তাঁর যুক্তি, ‘এজেণ্ডা গুলিয়ে গেলে মুশকিল। বোঝাবুঝিতে সমস্যা হয়। সত্যজিৎকে নিয়ে ছবি বলে শুধু নয়, অনীক দত্তের ছবি বলেই ‘অপরাজিত’-কে নন্দনে দেখতে চাই। স্পষ্ট করে বলতে চাই, নন্দনের জন্মই ‘ঝিল্লি’, ‘মানিকবাবুর মেঘ’, ‘অপরাজিত’ দেখানোর জন্যে। ‘রাবণ’, ‘কিশমিশ’, ‘মিনি’ দেখানোর অনেক অনেক হল পড়ে আছে। মনে রাখতে হবে নন্দনের পুরো নাম ‘নন্দন আর্ট ফিল্ম থিয়েটার’।
শুক্রবার তৃণমূলের যুবনেত্রী এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘ছবিটা অনীক দত্তের ছবি হিসেবে নয়, সত্যজিৎ রায়ের ছবি হিসেবে দেখছি। সেই পরিচালক যিনি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘অপরাজিত’ বানানো। সেই ছবি নন্দনে জায়গা পেল না। এটা আমায় সবচেয়ে বেশি আঘাত দিচ্ছে। নন্দন কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ মানতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি এ বারেও অনীকদার পাশেই।’’ দেবদূত কি পরোক্ষে সায়নীকেও কটাক্ষে বিঁধলেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy