ফাইল চিত্র।
স্বামী অন্য মেয়েতে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। একা লাগতে শুরু করেছিল তাঁর। সে সময় তিনিও অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। নিজের পরকীয়া সম্পর্কের খুঁটিনাটি এ বার প্রকাশ্যে আনলেন মুমতাজ।
সত্তরের দশকে বহু পুরুষের মন টলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নিজেও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন মুমতাজ। রাজেশ খন্নার সঙ্গে মুমতাজের সম্পর্ক তো আজও অনেকের কাছে চিরসবুজ। তবে এত বছর পর আরও এক সম্পর্কের গল্প শুনিয়েছেন তিনি। এটি পরকীয়ার!
ময়ূর মাধবানীর সঙ্গে সংসার করার সময় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মুমতাজ। অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন, তাঁর আগে অন্য সম্পর্কে আসক্ত হয়ে পড়েন ময়ূর। সে সময়ই ক্ষণিকের জন্য হলেও মুমতাজেরও মন টলে গিয়েছিল।
একটি বিনোদনমূলক ওয়েবসাইটে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেন, ‘‘তখনকার দিনে পুরুষেরা লুকোছাপা করে পরকীয়ায় জড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। আমার স্বামীর তেমন কোনও সম্পর্ক ছিল না... একটা ছাড়া! নিজেই সে কথা বলেছিল। তার জন্য ওকে সম্মান করি।’’
১৯৭৪ সালে কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন ময়ূরকে বিয়ে করেছিলেন মুমতাজ। ছোটবেলা থেকেই মাধবানীদের সঙ্গে পরিচয় ছিল তাঁর পরিবারের। ফলে তা দাম্পত্যের সম্পর্কে গড়াতে দেরি হয়নি। মুমতাজ বলেন, ‘‘ময়ূরের জন্ম আমেরিকায়। সেখানেই বেড়ে ওঠা। সে দেশে থাকাকালীন একটি মেয়ের প্রতি ওর টান জন্মে গিয়েছিল। তবে ময়ূর বলেছিল, ‘মুমতাজ তুমি আমার স্ত্রী। সব সময়ই তোমাকে ভালবাসব। কখনও ছেড়ে যাব না।’ ময়ূর সে কথা রেখেছে!’’
স্বামীর এই স্বীকারোক্তির পর নিঃসঙ্গ লাগত বলে জানিয়েছেন মুমতাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও কিছুরই খামতি রাখেনি। তবে আমি তো বড্ড জেদি! সত্যি কথা বলতে কী, ময়ূরের পরকীয়ার কথা শুনে আহত হয়েছিলাম। খুব একা লাগতে শুরু করেছিল। আমেরিকা ছেড়ে ভারতে চলে আসি। সে সময় আমিও (অন্যের প্রেমে) ভেসে গিয়েছিলাম। আসলে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় কেউ যদি গোলাপ নিয়ে এগিয়ে আসে, তখন তো আমরা ভেসেই যাই!’’
কার প্রেমে পড়েছিলেন মুমতাজ? তাঁর পরিচয় অবশ্য গোপন রেখেছেন। যদিও বলেছেন, ‘‘ওই সম্পর্কটা ক্ষণিকের জন্য ছিল। তেমন গুরুতর নয়। তাই ফুরিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। আমার কপাল ভাল যে ময়ূরের মতো স্বামী পেয়েছি। এখনও এত ভালবাসে... ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy