একটি বিনোদনমূলক ওয়েবসাইটে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেন, ‘‘তখনকার দিনে পুরুষেরা লুকোছাপা করে পরকীয়ায় জড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। আমার স্বামীর তেমন কোনও সম্পর্ক ছিল না... একটা ছাড়া! নিজেই সে কথা বলেছিল। তার জন্য ওকে সম্মান করি।’’
১৯৭৪ সালে কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন ময়ূরকে বিয়ে করেছিলেন মুমতাজ। ছোটবেলা থেকেই মাধবানীদের সঙ্গে পরিচয় ছিল তাঁর পরিবারের। ফলে তা দাম্পত্যের সম্পর্কে গড়াতে দেরি হয়নি। মুমতাজ বলেন, ‘‘ময়ূরের জন্ম আমেরিকায়। সেখানেই বেড়ে ওঠা। সে দেশে থাকাকালীন একটি মেয়ের প্রতি ওর টান জন্মে গিয়েছিল। তবে ময়ূর বলেছিল, ‘মুমতাজ তুমি আমার স্ত্রী। সব সময়ই তোমাকে ভালবাসব। কখনও ছেড়ে যাব না।’ ময়ূর সে কথা রেখেছে!’’
স্বামীর এই স্বীকারোক্তির পর নিঃসঙ্গ লাগত বলে জানিয়েছেন মুমতাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও কিছুরই খামতি রাখেনি। তবে আমি তো বড্ড জেদি! সত্যি কথা বলতে কী, ময়ূরের পরকীয়ার কথা শুনে আহত হয়েছিলাম। খুব একা লাগতে শুরু করেছিল। আমেরিকা ছেড়ে ভারতে চলে আসি। সে সময় আমিও (অন্যের প্রেমে) ভেসে গিয়েছিলাম। আসলে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় কেউ যদি গোলাপ নিয়ে এগিয়ে আসে, তখন তো আমরা ভেসেই যাই!’’
কার প্রেমে পড়েছিলেন মুমতাজ? তাঁর পরিচয় অবশ্য গোপন রেখেছেন। যদিও বলেছেন, ‘‘ওই সম্পর্কটা ক্ষণিকের জন্য ছিল। তেমন গুরুতর নয়। তাই ফুরিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। আমার কপাল ভাল যে ময়ূরের মতো স্বামী পেয়েছি। এখনও এত ভালবাসে... ।’’