সে দিনটা আমার খুব মনে পড়ে। নাটকের মহড়া চলছে। এক টানা মহড়ার পর চায়ের ব্রেক। একটা বড় থালায় চায়ের কাপ বা মাটির ভাঁড়। সেখানেই পয়সা দিয়ে দেওয়া। হঠাৎ অন্ধকার, লোডশেডিং। উইংসের আড়ালে গিয়ে সে দিন আমার ঠোঁট চায়ের কাপ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিল নাটকের নায়িকার ঠোঁটে! আমার তখন মাত্র ১৮। নায়িকা বছর দুয়েকের বড়। সেই আমার চা আর চুমুর গল্প। আজ আন্তর্জাতিক চা দিবসে আনন্দবাজার ডট কমের আবদারে এত দিনের সেই স্মৃতি প্রকাশ্যে।
লোকে পঞ্চ ম’কারে ডোবে। আমি কিন্তু চা, চুমু আর চিংড়ি— এই তিন ‘চ’-এ খুশি। দিন এগিয়েছে। চায়ের নেশা বেড়েছে। চুমুর নেশাও! সে দিনের ব্যাপারটা এতই হঠাৎ করে ঘটেছিল যে, চুমুর আগে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাইনি। সে দিন তাই মুখে চায়ের গন্ধ লেপ্টেছিল। নায়িকার মুখেও। পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শৌখিনতা বেড়েছে। দার্জিলিং চা থেকে মকাইবাড়ির চায়ের স্বাদ যেমন অনায়াসে নিয়েছি, তেমনই সেই গন্ধ ঢাকতে মুখে থাকত চিউইং গাম। ওই এক জোরে কত বৈতরণী পার! আমার যাবতীয় প্রেম, চুমু— অভিনেত্রীদের সঙ্গে। কারণ, ১৯ বছর বয়স থেকে ছোট পর্দায়। তার পর বড় পর্দা, সিরিজ়, যাত্রা— সবেতে গিয়াছি ছ়ড়ায়ে। বিনোদন দুনিয়ার বাইরে বেরোতে পারলাম না। ছায়া জগতের মানুষের সঙ্গেই তাই যাবতীয় যা কিছু।
আরও পড়ুন:
ইদানীং আমি কি কিঞ্চিৎ বৃদ্ধ হয়েছি? চা এখনও আমায় অহর্নিশ টানে। কিন্তু চুমু?
না, তেমন আগ্রহ আর পাই না। হয়তো বয়স বেড়েছে। ব্যস্ততাও বেড়েছে। তার থেকেও বড়, রোমান্টিসিজ়মে ভাটা পড়েছে। তেমন রোমান্টিক মানুষ আর পাই কই? তার পরেও একজনকে চুমু খাওয়ার প্রবল বাসনা মাঝেমধ্যেই মাথা তুলতে চায়। তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ওঁকে আমার খুব ভাল লাগে। স্বস্তিকাকে সাপ্টে চুমু খাব হয়তো একদিন। আর সোহিনী সরকার। বন্ধু হয়। বন্ধুকে তো আদর করে চুমু খাওয়াই যায়? ঠিক যেমন স্নেহচুম্বন এঁকে দেওয়া যায় একমাত্র ছেলে সহজের কপালে।