দর্শনা, সোহম, ঋদ্ধিমা।
কারও ভাই বাইরে। কেউ নিজেই কাজের সূত্রে দূরে। কেউ আবার করোনাকালের সতর্কতায় জোর দিয়েছেন। আর পাঁচজনের মতোই তারকা ভাই-বোনেরাও তাই মেনে নিয়েছেন ভার্চুয়াল ভাইফোঁটা। সকাল থেকেই সোশ্যাল পেজ নস্টালজিক সেলেবদের ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার নতুন-পুরনো ছবিতে। সোহম চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ, দর্শনা বণিককে এভাবেই উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে বিশেষ দিনটি।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, আবার করোনায় আক্রান্ত অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। জ্বর, পেটের সমস্যা নিয়ে তাঁকে ভর্তি হয়ে হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এবং পরে নেগেটিভ আসায় পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ বছর তাই সরাসরি দিদি শ্রীপর্ণা চক্রবর্তীর হাত থেকে সরাসরি ফোঁটা নিলেন না অভিনেতা, শাসকদলের নেতা। বদলে দিদি পুরনো ভাইফোঁটার ছবি সকাল সকাল শেয়ার করেন সোশ্যাল পেজে। সেই ছবি আরও এক বার পোস্ট করেন সোহম নিজের পেজ থেকে। ক্যাপশনে লেখেন, ‘সকাল সকাল এই ছবি আর শুভেচ্ছা পোস্ট করে মন ভাল করে দিয়েছিস দিদিভাই। আজকের দিনে তোকে ভীষণ মিস করছি। খুব ভাল থাক, সুস্থ থাক'।
ঋদ্ধিমা ঘোষকে অবশ্য বরাবরই ভার্চুয়াল ফোঁটা দিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কারণ, ভাই ওম কানাডাবাসী। ফলে, স্কাইপে ভাই আর দিদি মুখোমুখি হয়ে ফোঁটা পর্ব সারেন। ল্যাপটপের কি বোর্ডের উপরে রাখা ভাইফোঁটার থালা। যত্নে সাজানো সুগন্ধি মোমবাতি, চন্দন, ধান-দুব্বো আর ওমের পছন্দের মিষ্টি। অনলাইনে মন্ত্র পড়ে ভাইয়ের শুভ কামনা করেন অভিনেত্রী। স্কাইপে হাসিমুখে পুরোটাই গ্রহণ করেন ভাই। ফোঁটা শেষে দিদি ঋদ্ধিমার আশীর্বাণী, ‘এভাবেই ঐতিহ্য পালন। সামাজিক দূরত্ব থাকলেও ভালবাসা মিলিয়ে দিয়েছে আমাদের। তোর সব স্বপ্ন সত্যি হোক ভাই'।
আরও পড়ুন: দীপিকা পাড়ুকোনের পোশাকের সঙ্গে কাজু বরফির তুলনা! কী বললেন নায়িকা?
দাদা কাজের সূত্রে সানফ্রানসিস্কো। ভাইফোঁটা এলেই মন কেমন করে দর্শনা বণিকের। এ বছর তিনি শ্যুটিংয়ের জন্য সম্ভবত বাংলাদেশে। বিশেষ দিনে দাদাকে তাই মনে করেছেন ছোটবেলার ছবিতে। লম্বা ক্যাপশনে দাদার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা, ‘আমি তখন স্কুলে। দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। আন্দামানে বেড়াতে গিয়ে ছবি তুলেছিলাম একসঙ্গে। বেশ কিছু বছর ধরে মুখোমুখি বসে দাদাকে আর ফোঁটা দেওয়া হয় না। কাজের সূত্রে ও সানফ্রানসিস্কোয়। অত দূর থেকে চাইলেই উড়ে আসা যায়!’
আরও পড়ুন: রটে গিয়েছিল মৃত্যুর খবরও, সুপারহিট শুরুর পরেও বলিউড থেকে হারিয়েই গেলেন জিবিধা
তার পরেই দর্শনা সান্ত্বনা দিয়েছেন নিজেকে, ‘কে বলতে পারে? আগামী বছর হয়তো ছোটবেলার মতোই আবার মুখোমুখি বসে ফোঁটা দেব!’
ক্যাপশনেই দাদার উদ্দেশ্যে মন্ত্রও পড়েছেন, ‘যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা...আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা'।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy