বড় সাধ করে গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। ভারতে সবে এসেছে। গাড়ির মডেল, রং দেখে এতটাই মুগ্ধ যে চোখ ফেরাতে পারেননি ঋষভ বসু। তখন তিনি মঞ্চাভিনেতা। উপার্জন বলতে তেমন কিছু নেই। সবে পর্দার দুনিয়ায় পা রেখেছেন। দু’-একটি কাজ করেছেন। পরিচিতি একটু একটু করে ধরা দিচ্ছে। স্থায়ী উপার্জন তখনও স্কুলে শিক্ষকতা। সেই তখন টিয়া সবুজ গাড়িটি চোখে পড়েছিল তাঁর। মনেও ধরেছিল খুব...! “যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। মুগ্ধ আমি ঠিক করলাম, কিস্তিতে কিনব। কিন্তু গাড়িটি কিনতেই হবে”, বক্তব্য ঋষভের।
সেই গাড়িই তিনি এ বার অর্থাভাবে বিক্রি করতে চলেছেন! আনন্দবাজার ডট কমকে এ কথা জানিয়েছেন খোদ অভিনেতা। নিন্দকেরা বলছে, ঋষভ নাকি অনেক উপার্জন করে ফেলেছেন, তাই ন’বছরর ‘সঙ্গী’কে সরিয়ে নতুন বাহন আনতে চলেছেন?
ঋষভ সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। যদিও তাঁর দাবি, “প্রাথমিক প্রয়োজন কিন্তু টাকা। সেই সঙ্গে বাবা বলছিল, গাড়ির বয়স ৯-১০ বছর পেরোলেই তাকে বদলে ফেলা ভাল। এর পর গাড়ির কলকব্জা আর আগের মতো থাকে না। বাবা গাড়ি বিশারদ।” ‘সাথীহারা’ হওয়ার আগে স্মৃতিকাতর অভিনেতা। “প্রথম কেনা গাড়ি যেন বৌয়ের মতো! আমার কত শোক-তাপ, মিলন-বিরহের সাক্ষী। আমার পরিশ্রম, ব্যর্থতা, সাফল্যের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছি আমরা। নিজের টাকায় কেনা প্রথম গাড়ি... বুঝতেই পারছেন।”
আরও পড়ুন:
গাড়ির চার দেওয়ালের আড়ালে চুমুও খেয়েছেন? ভিড় সরিয়ে প্রেম জমেছে নিভৃতে?
প্রশ্ন শুনে ফোনের ও পারে লাজুক হাসি। সিরিজ়ের ‘শ্রীকান্ত’-এর কথায়, “হ্যাঁ, চুমুও খেয়েছি। তবে সেটা আলতো চুমু। ভেজা, ঠোঁটঠাসা চুমু খাওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই চুমুতে কামনা ছিল কম। স্নেহের ভাগ ছিল বেশি।” এ বার কী রকম গাড়ি কিনবেন? বাবার সঙ্গে আলোচনা চলছে অভিনেতার। গাড়ির রং ঠিক করে ফেলেছেন। “ইদানীং খেয়াল করে দেখেছি, কালো রঙের যে কোনও জিনিস আমায় বেশি মানাচ্ছে। আমার যৌন আবেদন বাড়িয়ে দিচ্ছে। কালো রঙের পোশাক তাই বেশি পড়ছি।” এই জায়গা থেকেই ঋষভ কালো রঙের গাড়ি কিনবেন। “কালো পোশাক পরে কালো গাড়ি থেকে নামলে যদি কারও মন পাই”, বলেই হাসিতে ফেটে পড়লেন তিনি।