বড়পর্দায় রোশনি ভট্টাচার্য কখনও উত্তমকুমারের নায়িকা, কখনও মিঠুন চক্রবর্তীর! সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ ছবিতে আক্ষরিক অর্থেই উত্তমকুমারের বিপরীতে তাঁকে দেখিয়েছেন পরিচালক! অন্য দিকে, পথিকৃৎ বসুর ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’ ছবিতে তিনি রাজনীতিবিদ-অভিনেতার বিপরীতে। কাকতালীয় ভাবে প্রত্যেকের থেকে তাঁর বয়সের ব্যবধান অনেক। তাই কি তিনি মনে করেন, বয়সের ব্যবধান থাকলে প্রেম বা বিয়ে— দুটোই টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
মাঝে কিছু দিনের বিরতি। ধারাবাহিক থেকে জনপ্রিয় রোশনি আবার ছোটপর্দায়। তাঁকে দেখা যাচ্ছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘ভোলে বাবা পার করেগা’তে। এখানে তিনি চিকিৎসক চৈতি সেনের চরিত্রে। আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই তিনি বলেন, “লীনাদির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে বহু দিনের। আপাতত অতিথি চরিত্র করছি। সম্ভবত, আবার ধূসর চরিত্রে। দিদির আশ্বাস, আগামী দিনে চরিত্রটি বাড়তে পারে।”
আরও পড়ুন:
তখনই ফাঁস, বড়পর্দায় এবার তিনি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের নায়িকা! ‘ফণিবাবু ভাইরাল’ ছবিতে ১৮৮০ সালের এক চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ছবিটি আদ্যন্ত কৌতুক ঘরানার। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে নারাজ রোশনি।
বড়পর্দায় প্রথম থেকে নায়কেরা তাঁর থেকে অনেক বড়। ইদানীং, একাধিক ধারাবাহিকেও সেই ঝোঁক দেখা গিয়েছে। যেমন, রাজ চক্রবর্তীর ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ বা সাম্প্রতিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। এটাই কি এখন ‘ট্রেন্ড’? বিষয়টি তাঁর চোখ এড়ায়নি, জানিয়েছেন রোশনি। এ-ও বলেছেন, “আমার যত বন্ধু বা প্রেমিক— প্রত্যেকে বেশ বড়। আমার বরই তো আমার থেকে সাত বছরের বড়।” তাঁর ব্যাখ্যা, নারী দ্রুত পরিণতমনস্ক হয়ে ওঠেন। তাই বয়সে খানিক বড় পুরুষই সঙ্গী হিসাবে সঠিক বলে তিনি মনে করেন।