অক্ষয়তৃতীয়ায় সোনার গয়নার বিজ্ঞাপন। খবরের কাগজের পাতায় পাতায় ইন্দ্রাণী দত্তের ছবি। “ইন্ডাস্ট্রির পুরনো লোকজনদের সঙ্গে দেখা হলে এখনও আমরা আলোচনা করি। তখন উদ্যাপনের আমেজটাই ছিল অন্য”, আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই জবাব দিলেন অভিনেত্রী। তিনি নৃত্যশিল্পী। তাঁর পোশাকের ব্যবসাও রয়েছে। ঈশ্বরভক্তও তিনি। “তা বলে শুভ-অশুভ, বাছবিচার এ সব নেই”, দাবি তাঁর।
সোনার গয়নার বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ উঠতেই ইন্দ্রাণী ডুব দিলেন অতীতে। কণ্ঠস্বরে আবেগ। অভিনেত্রী বলে চলেছেন, “তখন অক্ষয়তৃতীয়া মানেই একের পর এক নতুন ছবির মহরত। তার আগে বিজ্ঞাপনের শুটিং। সব মিলিয়ে দম ফেলার শ্বাস পেতাম না। নির্দিষ্ট দিনে এক স্টুডিয়ো থেকে আর এক স্টু়ডিয়োয় দৌড়োচ্ছি। আমারই হয়তো একসঙ্গে তিনটি ছবির মহরত হয়েছে। এখন কবে, কখন মহরত হয়ে যায়! কেউ জানতেই পারে না।”
আরও পড়ুন:
কোনও ছুঁৎমার্গ না থাকলেও এ দিন ইন্দ্রাণী নিয়ম মেনে সোনা কেনেন। পুজো করেন জগন্নাথদেব, লক্ষ্মী-গণেশের। তাঁর যুক্তি, ধনতেরাস অবাঙালিদের। যদিও এই পার্বণ এখনও ভীষণ ভাবে বাঙালিরও। তাঁর আমলে ছিল অক্ষয়তৃতীয়া। সমৃদ্ধি যাতে অক্ষয় হয় তার জন্যই এক টুকরো সোনা কেনেন। “এখন সোনার দোকানে গেলে মেয়ে রাজনন্দিনীর মুখ ভেসে ওঠে। মনে হয়, ওর জন্য কিছু কিনে রাখি। আংটি হোক বা দুল— কিছু একটা।”
খাওয়া-দাওয়া নিয়েও আলাদা করে কিছু মানেন না ইন্দ্রাণী। সাফ জানিয়েছেন, “আমিষ-নিরামিষের দিনগুলো আমার মনেই থাকে না। এ দিকটা আমার বর জনার্দন পাল সামলায়। ভাগ্যিস বললেন, মনে পড়ে গেল। আমি অবশ্য নিরামিষ খেতে ভালবাসি।” একটু থেমে রসিকতাও করেছেন, নিরামিষ খাওয়ার দিনে বেশি করে আমিষ খাবারের জন্য মন উসখুশ করে তাঁর।