বিশেষ কারুকার্য করা শাঁখা এবং পলা পরতে ভালবাসেন অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। তাঁর পছন্দের একটি দোকান আছে। যেখানে প্রতি বছর গিয়ে শাঁখা, পলা পরে আসেন অভিনেত্রী। কী নিয়ম মেনে এই শাঁখা, পলা পরেন অভিনেত্রী? সম্প্রতি নিজের একটি ভ্লগে সেই কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। প্রতি বছর নিয়ম মেনে পুজোর আগে শাঁখা-পলা পরে আসেন মধুবনী। তবে এই বছর নিয়মে পরিবর্তন হয়েছে। জুন মাসেই নতুন শাঁখা, পলা পরে এলেন অভিনেত্রী। কারুকার্য করা শাঁখা তাঁর খুব পছন্দের। এ বছর আবার সেই একই কারুকার্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পলাও তৈরি করিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বললেন, “প্রতি বছর নিয়ম করে পুজোর আগে এখানে এসে মোটা শাঁখা-পলা পরে যাই আমি। এ বছর সময়ের আগেই চলে এলাম।”
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে তাঁর পোস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। মধুবনীর বিশ্বাস, হাতের শাঁখা-পলা, সিঁথির সিঁদুরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল। যাঁরা এ সব নিয়ে কটাক্ষ করেন কিংবা যাঁরা ‘শুধুই ফ্যাশন’-এর কারণে শাখা পরেন না, তাঁদের উদ্দেশেই পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘যাঁরা প্রফেশনের কারণে পরতে পারেন না, তাঁদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। ‘এমনিই পরি না’ বা ‘দেখতে গাঁইয়া লাগে’ ভেবে যারা পরেন না, তাঁদের অন্তত এ টুকু মাথায় রাখা উচিত যে, এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এগুলো পরার সুযোগই পান না।’’ মধুবনীর এই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। এই মোটা শাঁখা-পলা পরার চল যে নতুন কিছু নয়, তা অনেকেই মন্তব্যবাক্সে লিখেছেন মধুবনীর উদ্দেশ্যে। অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের দিদি রাই সেনগুপ্তও মধুবনীর ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছেন। মোটা শাঁখা পরার প্রচলন যে অনেক আগের তা মনে করিয়ে দেন তিনি।