শ্বেতার যদি মনে হয়ে থাকে, ও হাতকাটা পোশাকে স্বচ্ছন্দ নয়, তার মানে সত্যিই এই ধরনের পোশাকে ও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেক সময় এ রকম পোশাক পরলে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগে। সেটা হলে কিন্তু অভিনয় থেকে মনটা অন্য দিকে চলে যায়। কারণ, সারা ক্ষণ তখন আমি পোশাক ঠিক করতেই ব্যস্ত থাকব। এতে কাজের ক্ষতি হবে।
সেই জায়গা থেকেই বলব, শ্বেতা যদি এই ভাবনা থেকে বলে থাকে, তা হলে ও যা বলেছে ঠিক বলেছে। ওর অস্বস্তি হলে হাজার বার বলবে। যদি প্রশ্নও তোলে, ও অযথা কেন শরীর দেখিয়ে পোশাক পরবে, অন্যায় কোথায়? ওর যা ইচ্ছা সেটাই ও করবে। আমার মনে হয়, চরিত্রের স্বার্থে সত্যিই যদি এই ধরনের পোশাক ওকে পরতে হয়, তা হলে শ্বেতা আপত্তি করবে না। অকারণে কেউ এই ধরনের পোশাক পরতে বললে ও আপত্তি জানাবে।
আরও পড়ুন:
দেখুন, চরিত্রের খাতিরে, চিত্রনাট্যের দাবিতে আমরা অনেক সময়েই অন্য রকমের পোশাক পরি। আমিই যেমন মৃণাল সেনের ছবি ‘মৃগয়া’তে ব্লাউজ ছাড়া খাটো শাড়ি পরেছিলাম। কারণ, ছবিতে সাঁওতাল রমণী সাজতে হয়েছিল। সে কথা আলাদা। ওই ছবিতে ওই রকম পোশাকই দাবি করেছিল। তা বলে, যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে কেন ওই ধরনের পোশাক পরব!
শ্বেতার সঙ্গে ২০১২ থেকে কাজ করছি। খুব ভাল করে চিনি, খুবই স্নেহ করি। আমার বিশ্বাস, অকারণে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার মতো মেয়ে ও নয়।