সবটাই শুটিংয়ের খাতিরে। তবু ‘আড়ি’র দৌলতে অনেকটা দিন কলকাতায় থেকে গেলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। জিৎ চক্রবর্তীর পরিচালনায় পর্দায় তাঁর ছেলে আর বৌমা যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান। ছেলের সঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সম্পর্ক ‘কুল’। বৌমা কত নম্বর পেলেন? জানেন না ছবির নায়িকা। তিনি শাশুড়িকে একশোয় একশো দিয়েছেন। নায়িকার একটি আচরণ নাকি খুবই ভাল লেগেছে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র নায়িকার। শুটিংয়ের সময় নুসরত ফোন ধরেন না। বাড়ি ফিরে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন যখন, তখনও ফোন থেকে দূরে থাকেন। এই আচরণের নাকি খুব প্রশংসা করেছেন মৌসুমী।
আনন্দবাজার ডট ইনের সঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অতীতে ডুব দিলেন নুসরত। “ছোট থেকেই মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে পরিচিত। আমার মা-বাবা ওঁর ছবি দেখতেন একটা সময়। তাঁকে সামনে থেকে দেখতে পাব, একসঙ্গে কাজ করতে পারব— ভাবিনি কোনও দিন। আমাদের ছবি সেই সুযোগ করে দেওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়ছে।”
বয়স হয়েছে, এক কন্যাকেও হারিয়েছেন। মৌসুমী কি একটু মেজাজি, একটু অস্থির?
প্রশ্ন ছিল নুসরতের কাছে। নায়িকা পুরোপুরি উ়ড়িয়ে দিয়েছেন সে কথা। বলেছেন, “ভীষণ ছেলেমানুষ। কথায় কথায় খুব মজা করেন। সকলের সঙ্গে খুনসুটিতে মাতেন। আবার শাসনও করেন। দুর্দান্ত মানুষ, জবরদস্ত শাশুড়ি। ওঁর সঙ্গে খুনসুটি করতে করতেই দিন কেটে যেত।” আবার ক্যামেরার মুখোমুখি হলেই বদলে যেতেন তিনি। যা দেখে তিনি বুঝেছেন, এখনও অভিনয়ে বাঁচেন মৌসুমী। যশের মতোই তিনিও এই সম্পর্ককে তাই এগিয়ে নিতে চান।
আরও পড়ুন:
অর্থাৎ, যশ-নুসরতের আগামী প্রযোজনাতেও কি মৌসুমীকে দেখা যাবে?
“অবশ্যই থাকবেন”, সিলমোহর দিলেন নুসরত। হাসতে হাসতে যোগ করলেন, “তা বলে এখনই জানতে চাইবেন না, আমাদের আগামী ছবি কী। এখনও ‘আড়ি’র প্রচার চলছে পুরোদমে। তার পর একটু বিশ্রাম নেব। তার পর ভাবব, পরের ছবি কী হতে পারে।”