প্র: বিয়ের সিদ্ধান্ত কবে নিলেন?
উ: বিয়ে ব্যাপারটাকেই আমি ভয় পাই, যেহেতু একটা ভাঙা পরিবার থেকে এসেছি। আশপাশে বহু সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছি। বিয়ের পর কেউ যদি বলে এটা কোরো না, বোল্ড ছবি দিয়ো না... সে সব মেনে নিতে পারব না। সত্যি বলতে, এর আগে কাউকে দেখে মনে হয়নি, তার সঙ্গে সংসার করতে পারব। তবে আমার কিছু বলার আগেই হঠাৎ একদিন ও-ই বলল, ‘তুমি পাশে থাকলে তোমার প্রতি কেমন যেন বৌ বৌ ফিলিং আসে।’ আমার একটাই শর্ত ছিল, যাকে বিয়ে করব, বিয়ের আগে তার সঙ্গে কিছু দিন থাকতে চাই। কিন্তু দুই বাঙালি পরিবার ব্যাপারটাকে কী ভাবে নেবে জানি না। তাই ঠিক হল, এ বছর ডিসেম্বরে এনগেজমেন্ট করে আমরা একসঙ্গে থাকব আমার বাড়িতে। কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে পরের বছর বা তার পরের বছর জাঁকজমক করে বিয়ে করব। বিয়ের পরে অবশ্য সল্টলেকেই নতুন একটা বাড়িতে থাকব, যেটা আমাদের দু’জনের বাড়ি থেকেই কাছে হবে। আপনারা আমার বিয়ের যে খবরটা পেয়েছিলেন, সেটা ভুল ছিল না। আমি সত্যিই জীবনের পরের পদক্ষেপটা খুব তাড়াতাড়ি নিতে চাই। ওর পরিবারে সকলে ডাক্তার। আশা করব, আমার কাজের ধারার সঙ্গে ও যেন মানিয়ে নিতে পারে।
প্র: এনগেজমেন্ট নিয়ে কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
উ: ওকে বলেছি, (হাতের হিরের আংটি দেখিয়ে) প্রোডাকশনের কাজ শুরু করার পরে বাইশ বছর বয়সে নিজেকে এই আংটিটা উপহার দিয়েছিলাম, তাই তোমার দেওয়া আংটিটা যেন চাঁদ থেকে দেখা যায় (হেসে)। ইচ্ছে আছে, ওকে যে আংটিটা দেব, তার ভিতরে একটা মেসেজ লেখা থাকবে। এর পরে যখন বিদেশে যাব, তখন আংটিটা তৈরি করিয়ে আনব। এনগেজমেন্টের দিন বড় অনুষ্ঠান করব না, শুধু কাছের লোকেরা থাকবে।
প্র: এত কিছু যেখানে ঠিক হয়ে গিয়েছে, সেখানে বিয়ের খবরটা অস্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন কেন?
উ: আমাদের সম্পর্কটা নতুন। তাই মনে একটা সংশয় ছিল। যেহেতু প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি, তাই প্রথমে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে চেয়েছিলাম। এখন আমি আবার কাজ শুরু করেছি, ভাল আছি। কিন্তু তখন সেই অবস্থায় ছিলাম না যে, বিষয়টা নিয়ে কথা বলব। আপনারা যা লিখেছিলেন তা ঠিকই ছিল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকেও কিছু লিখতে হত না, যদি না বিভিন্ন মিডিয়া আমাকে মিসকোট করতে শুরু করত। তখন ‘বিয়ে করছি না’ স্টেটমেন্ট দিয়ে এই আলোচনাটা বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। সত্যিটাকে স্বীকার করার মতো জোর তখন আমার ছিল না।
প্র: পাত্রের নামটা আমরা ঠিক লিখেছিলাম তো?
উ: (খুব হেসে) পাত্র খুবই লাজুক। সে চায় না তার নাম বলা হোক। আনন্দবাজার তার পেশা আগেই লিখেছিল, এ বার নামটা ঠিক ছিল কি না, সেটা এনগেজমেন্টের ছবি থেকে বোঝা যাবে।
প্র: কাজ কেমন এগোচ্ছে?
উ: ‘এফআইআর’ মুক্তি পাচ্ছে পুজোয়। এ ছাড়াও অনুরাগ কাশ্যপের প্রযোজনায় একটি হিন্দি ছবি রয়েছে। ‘মায়া মৃগয়া’ নামে আর একটা ছবির শুটিং শুরু করব। অংশুমান প্রত্যুষের একটি ছবি করছি, মিষ্টি প্রেমের গল্প।