মা নেই। এখনও এ কথা ভাবলে মন হু হু করে ওঠে তাঁর। এ বছরের দুর্গাপুজো অন্যান্য বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে। পুজোর আনন্দ এ বার একেবারেই ফিকে। বার বার মায়ের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর।
গত তিন মাসে একের পর এক ছবি মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর। চেষ্টা করেছেন কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে। পুজো মানেই তাঁর কাছে চারদিন জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। কোনও বাধা নেই। কাজের ব্যস্ততায় গত কয়েক বছরে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু মায়ের আদর, ভালবাসায় কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ঋতুপর্ণা বললেন, “এই চারদিন আমি আসব। আমাদের কমিউনিটি হলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করব। এই অপেক্ষাতেই থাকতেন মা। আমরা একসঙ্গে পুজোয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতাম। ঢাক বাজানো উপভোগ করতাম। ছোটদের আদর করতেন মা। সেগুলো মনে পড়বে বার বার।”
সফল নায়িকা পরিবারকেও যে খুব বেশি সময় দিতে পারেন তা নয়। কিন্তু পুজোর কয়েকটা দিন ঋতুপর্ণার কাছে তাঁর মায়ের একটাই প্রশ্ন থাকত ‘কখন দেখা করতে আসবেন তিনি?’ অভিনেত্রী বললেন, “পুজোর সময় মায়ের একটাই প্রশ্ন থাকত আমি কখন আসব? এখন আর মা বলারই কেউ নেই। সব নিভে গেল। মা বলতেন ‘দেখ তো এই রঙের শাড়িটা তোর পছন্দ কি না!’ ওই শাড়িটা তো আর কোনও দিন পাব না।”
আরও পড়ুন:
মায়ের স্মৃতি আঁকড়ে প্রতিটা দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। বাবা চলে যাওয়ার পর তাঁর ভাই মহালয়ার সকালে তর্পণ করতে যান। এ বার থেকে কি ঋতুপর্ণাও তর্পণ করবেন? নায়িকা বললেন, “ভাই করত বাবা চলে যাওয়ার পরে। তর্পণ মানে পূর্বপুরুষদের জল দেওয়া। আমি তো এখনও ভাবতেই পারছি না, মা নেই। তাই তর্পণের কথা ভাবতে পারছি না।” সম্ভবত এই বছরের পুজোটা বিদেশেই কাটাবেন অভিনেত্রী।