২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘গ্যাংস্টার’। জনপ্রিয় হয় জ়ুবিন গার্গের কণ্ঠে ‘ইয়া আলি’, যে গান রাতারাতি খ্যাতি এনে দিয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদনদুনিয়া। আলোচনায় তাঁর গান, সৃষ্টি, কণ্ঠ। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। স্ত্রী গরিমার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে নাকি অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল জ়ুবিনকে!
জ়ুবিনের স্ত্রীর নাম গরিমা শইকীয়া। তারকাপত্নী হলেও থেকেছেন আড়ালে। অসমের ‘হার্টথ্রব’ জ়ুবিনের সঙ্গে কেমন ছিল তাঁর প্রেমকাহিনি? অনেক সাক্ষাৎকারেই নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন জ়ুবিন। অসমের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একাধিক প্রেমিকা থাকার কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলেন। স্কুল-কলেজে, এমনকি কাজ শুরুর পরেও তাঁর জীবনে প্রেম এসেছে বহু বার। তামুলপুরে যখন পড়াশোনা করছেন জ়ুবিন, তখন তাঁর দুই প্রেমিকা। একজন জুনমণি ও অন্যজন রুনজুন। এক অনুষ্ঠানে নিজেই বলেছিলেন, দুই প্রেমিকার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ‘জুনমণি রুনজুন’ গান তৈরি করেছিলেন জ়ুবিন।
গরিমার সঙ্গেও প্রেম করেই বিয়ে হয় জ়ুবিনের। অসমের গোলাঘাটের মেয়ে গরিমা পেশায় পোশাকশিল্পী। শোনা যায়, গরিমাই প্রথম জ়ুবিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি গায়ককে। ‘অনামিকা’ ও ‘মায়া’ অ্যালবাম শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন গরিমা। তখন তিনি মুম্বইয়ে পড়াশোনা করছেন। শোনা যায়, সব অনুরাগিণীর চিঠির জবাব তিনি দিতেন না। তবে ভাগ্যক্রমে গরিমার চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন জ়ুবিন।
আরও পড়ুন:
শোনা যায়, মুম্বইয়ে পড়াশোনার মাঝেই বা়ড়ি ফেরার জন্য উতলা হয়ে উঠেছিলেন গরিমা। তেমনই একটা সময়ে জ়ুবিনের কাছ থেকে চিঠির উত্তর পান। সেই মানসিক টানাপড়েনের সময়েই গরিমার জীবনে জ়ুবিনের প্রবেশ। শুরু হয় প্রেম। আর পাঁচটা প্রেমের সম্পর্কের মতোই তাঁদের জীবনেও আসে চড়াই-উতরাই। গরিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন জ়ুবিন। কিন্তু, সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর গরিমা নিজেই জ়ুবিনের সঙ্গে কোনও কারণে মানিয়ে উঠতে পারছিলেন না। এমনকি, এই সম্পর্কের বিপক্ষে ছিলেন গরিমার বাবাও।
শোনা যায়, সেই সময় সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গরিমা। প্রেম ভাঙার পরে অবসাদে ভুগতেন জ়ুবিন। বলা হয়, তাঁর বেশ কয়েকটি গানে নাকি সেই মানসিক অবস্থার প্রভাবও পড়েছিল। তবে ভাগ্য সহায় হয় ২০০২ সালে। মান-অভিমানের পালা কাটিয়ে বিয়ে সারেন জ়ুবিন ও গরিমা।