খুব অল্প বয়সে মা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট। অভিনয়জীবনের মধ্যগগনে তিনি। এরই মধ্যে কটাক্ষ ধেয়ে আসছে তাঁর দিকে। মেয়েকে সময় না দিয়ে কি নিজের কথাই ভাবছেন কপূর পরিবারের পুত্রবধূ?
সদ্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে একের পর এক সাজে দর্শককে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। তাঁর প্রতিটি সাজ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে। ফ্রান্সে চলচ্চিত্র উৎসব কাটিয়েই নায়িকা উড়ে গিয়েছেন স্পেনে— বন্ধুর বিয়ে।
কাজের যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, পরিবার এবং বন্ধুরা যে তাঁর জীবনে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ এ কথা সব সময় বলে এসেছেন আলিয়া। তাই বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে সোজা স্পেন হাজির হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। বন্ধু তানিয়া সাহা গুপ্ত এবং ডেভিড অ্যাঞ্জেলভের বিয়ের অনুষ্ঠানের নায়িকাকে দেখা গেল রঙিন লহেঙ্গায়। সেই সঙ্গে মাথায় পরেছিলেন একটি ব্যান্ডানা। চোখে কেতাদার রোদচশমা। এই মুহূর্তটা বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী, প্রমাণ পাওয়া গেল তাঁর ছবিতে। প্রাণখোলা হাসিতে ধরা দিলেন অভিনেত্রী।
কিন্তু এরই জন্য কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে আলিয়ার দিকে। বন্ধুদের মাঝে অনুরাগীদের চোখ খুঁজেছে নায়িকার কন্যা রাহা এবং স্বামী রণবীর কপূরকে। না, বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। এর আগেই দেখা গিয়েছে রাহা মুম্বইয়ের রাস্তায় ঘুরছে বাবার সঙ্গে। ফলে কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেননি নেটাগরিকেরা।
মেয়েকে কেন সঙ্গে নিয়ে যাননি নায়িকা? অনেকে আবার সরাসরি আলিয়াকে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। মেয়ে আরাধ্যার জন্মের পর থেকে ঐশ্বর্যা পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আলিয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই উল্টো। মেয়েকে অনেক সময়ই বাবা, ঠাকুরমা, দিদা,দাদুর জিম্মায় রেখে কাজে যান অভিনেত্রী। তাই এক জন মন্তব্য করেছেন, “ঐশ্বর্যাকে দেখে আপনার শেখা উচিত।” অনুরাগীদের একাংশের দাবি, আলিয়ার ঐশ্বর্যাকে দেখে শেখা উচিত। অনেক সময় কাজের জায়গায় মেয়েকে না নিয়ে যেতে পারলেও, বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠানে মেয়েকে আলিয়া নিয়ে যেতেই পারেন।
তবে ভুলে গেলে চলবে না, ঐশ্বর্যাকেও কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি। ‘মেয়েকে কেন সর্বত্র নিয়ে যান’, ঠিক এই প্রশ্নই ধেয়ে এসেছিল প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর উদ্দেশে। তবে কি রেহাই নেই নায়িকাদের! প্রশ্ন উঠছে নতুন করে।