সংস্থার অধিকর্তা হয়ে সেই সংস্থারই এক ঊর্ধ্বতন মহিলা কর্মীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন। কনসার্টে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় তাঁদের আড়ালে-আবডালে ডানা মেলা সম্পর্ক। তার পর থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোনমার’-এর সিইও অ্যান্ডি বাইরন এবং তাঁর সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে হাসি-মশকরাও শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ‘মিম’ তৈরি হয়েছে। কেউ এ প্রসঙ্গে রেখা, অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের বহুচর্চিত ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে মজার পোস্টও করছেন। আবার কেউ ফিরে গিয়েছেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের সময়ে। এই কাহিনিতে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় শ্রীময়ী, অনিন্দ্য আর জুনের ত্রিকোণ প্রেম ফ্রেমবন্দি করেছিলেন। যদিও সেই ধারাবাহিক শেষ হয়েছে অনেক দিন হল। কিন্তু এত দিন পরে এই ঘটনার প্রেক্ষিতেও দর্শক ‘জুন আন্টি’-কে ফিরিয়ে আনবেন, তা ভাবেননি সেই চরিত্রের অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। তবে এত বছর পর ‘জুন’ চরিত্রের এই জনপ্রিয়তা পরতে পরতে উপভোগ করছেন।
অভিনেত্রী বললেন, “পরকীয়ার ওজি হল জুন আন্টি। যদিও আমার মনে, এ ক্ষেত্রে কৃতিত্ব সবটাই লীনাদির। সব চরিত্র তো এত জনপ্রিয়তা পায় না। সত্যি তা নিয়ে যে এমন হাস্যকর ছবি পোস্ট হবে ভাবিনি। সত্যিই মজার।”
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত দৃশ্য বছর ছাব্বিশের যে তরুণী ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন, তিনি মুখ খুললেন। ওই তরুণীর নাম গ্রেস স্প্রিংগার। তিনি ব্রিটিশ রক ব্যান্ড ‘কোল্ডপ্লে’র অন্ধ অনুরাগী। স্প্রিংগারের তোলা ভিডিয়োতেই ধরা বাইরন এবং ক্যাবটের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা এবং বিতর্ক তুঙ্গে, তখন এই বিষয়ে মাত্র ছ’টি শব্দে নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্প্রিংগার। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বোকা খেলা খেলুন, বোকা পুরস্কার জিতুন।” পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “খারাপ লাগছে যে, আমার জন্য কিছু মানুষের জীবন পুরো ওলটপালট হয়ে গেল। কিন্তু বোকা খেলায় বোকা পুরস্কার জেতে মানুষ। আমি আশা করি এই মানুষগুলোর সঙ্গীরা আবার ভালবাসার দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন এবং যে আনন্দ তাঁদের প্রাপ্য, তা তাঁরা পাবেন।”