সাইবার জালিয়াতি ক্রমশ বা়ড়ছে। ভারত সরকারের তরফে নাগরিকদের সচেতন করতে টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। যে কোনও ফোন কল করতে গেলেই গ্রাহক শুনতে পাচ্ছেন ‘সাবধান বাণী’। গত প্রায় ছ’মাস ধরে চলছে এই প্রচার। জরুরি ফোন করার সময় এই বাণী অনেকের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই এই কণ্ঠস্বরটি অমিতাভ বচ্চনের। তাই তাঁর উপরও চটেছেন অনেকে। সমাজমাধ্যমে সে কথা তুলতেই একহাত নিলেন অমিতাভও।
আগে সমাজমাধ্যমে তেমন উত্তর দিতেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা! কিন্তু ইদানীং তাঁকে কটাক্ষ করা হলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সপাট জবাব দিচ্ছেন তিনি। ৮৪ বছরের অভিনেতা সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয়। প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছু না কিছু লেখেন ব্লগে। তাঁর পোস্ট পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন নানা বয়সের অনুরাগী। কখনও ব্যক্তিগত ভাবনা তুলে ধরেন। কখনও বা ব্যক্তি জীবনের কথা। তাঁর পোস্টের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে তাঁর বাবা, কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের কবিতার পংক্তিও। এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এ ৪৯ মিলিয়ন ভক্ত প্রতি দিন অমিতাভের পোস্ট পড়েন।
আরও পড়ুন:
এ বার রাত জেগে পোস্ট লিখতে গিয়েই শুনতে হল বয়স নিয়ে খোঁচা। রবিবার রাতে অমিতাভ এক পোস্টে লেখেন, ‘হ্যাঁ ভাই, আমিও একজন প্রশংসক, তো!!! ??’কেন এ কথা লিখলেন? অনেকেই মনে করছেন, এর আগে নিজের ব্লগে ছেলে অভিষেক বচ্চনের গুণগান করেছিলেন। তার পরেই হয়তো ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। তারই উত্তর দিতে এ কথা লিখেছেন অমিতাভ।
কিন্তু তাতেও দমবার পাত্র নন অনুসরণকারীরা। এক্স-এ এক নেটাগরিক লেখেন, “তা হলে ফোনে বলাটা বন্ধ করুন।” তাতেই চটে যান বর্ষীয়ান অভিনেতা। ওই নেটাগরিকের মন্তব্যের পাল্টা তিন সাফ জানিয়ে দেন, এ সব কথা তাঁকে বলে লাভ নেই। অমিতাভ লেখেন, “যাও গিয়ে সরকারকে বল, তারা বলেছে তাই করছি।”