দীপিকা পাড়ুকোন বা আলিয়া ভট্টের মতো গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীদের তালিকায় ঠাঁই নেই তাঁর। সাইকেল চেপে এখনও বাড়ির কাছেপিঠে ঘুরে বেড়ান। মুখ ঢেকে উঠে পড়েন ট্রেনেও। বড় পরদার ‘ভোলি পঞ্জাবন’ বলে কথা! ‘ফুকরে রিটার্নস’-এ আবারও দেখা যাবে রিচা চড্ডার সেই অনবদ্য ম্যাজিক।
ভোলি পঞ্জাবন চরিত্রটি পাওয়ার জন্য নিজেকে লাকি মনে করেন রিচা। বললেন, ‘‘আগের ছবির মতোই এই ছবির জন্যও পরিশ্রম করেছি। পরিচালক মৃগদীপ (সিংহ লাম্বা) স্ক্রিপ্টের পাশাপাশি কস্টিউম, গান নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করছেন। ছবির জন্য দু’জন নাইজেরীয়কে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন তিনি। আশা করি, দর্শকের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারব।’’
ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা রিচার পথ সহজ ছিল না। ‘‘বলতে লজ্জা নেই, এখনও ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’-এর চেয়ে ‘না’-ই বেশি বলি। প্রথম প্রথম অনেক কিছু বুঝতাম না। ইন্ডাস্ট্রির আদব-কায়দা ভাল মতো জানতাম না। এমন অনেক চরিত্র করেছি, যেখানে স্ক্রিপ্টের সাহায্য পাইনি। তবে এখন ভাল চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করব।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রিচার ওয়েব সিরিজ ‘ইনসাইড এজ’ আমাজন প্রাইমের জনপ্রিয় শোগুলির একটি হয়েছে।
আলি ফজলের সঙ্গে রিচার প্রেমও চর্চার বিষয়। এই ছবিতে যিনি তাঁর সহ-অভিনেতাও। সেই প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে আমরা ভাল বন্ধু। রিলেশনশিপটাও সহজ পথেই এগিয়েছে। লুকিয়ে রাখার প্ল্যানও ছিল না। তাই সকলে যখন জেনেছে, আমরা আপত্তি করিনি। আলি আমাকে মোটিভেট করে। ভুল হলে দেখিয়ে দেয়। আবার ভাল করলে সকলের আগে ও-ই সেটা বলে। আমরা পরস্পরের ভাল সাপোর্ট সিস্টেম।’’
রিচা স্পষ্টবক্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলেবদের ট্রোল্ড হওয়া প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শোনালেন তাঁর অভিজ্ঞতা। ‘‘একদিন মুম্বই থেকে পুণে যাচ্ছি। যাওয়ার পথে ট্রোলারদের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে বুঝলাম, বেশির ভাগ ইউজার আইডি-ই নকল। তা হলে নকল ট্রোলারদের ভয় পাব কেন? বেশির ভাগ ট্রোল তো পেড-ও হয়। আমি এক ট্রোলারের সঙ্গে চ্যাটও করি! তাকে বলি ভাল কাজ করতে। উল্টে সে-ই আমাকে ব্লক করে দেয়।’’
অভিনেতা রণবীর সিংহ রিচার ভাল বন্ধু। ২০০৯ সালে একটি থিয়েটার ওয়র্কশপে গিয়েছিলেন রিচা-রণবীর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দু’জনকেই সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। রণবীরের সঙ্গে আলাপ হওয়ার আগে আমি নিজেকে খুব ভাল অভিনেত্রী ভাবতাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, ও-ই আমার ইনস্পিরেশন।’’
ডাকাবুকো রিচা বরাররই ছবিপ্রেমী। ‘‘স্কুলে আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে স্কুলের পোশাকের নীচে স্কার্ট আর ব্যাগিস টপ পরে নিতাম। আর ইচ্ছে করে স্কুলবাস মিস করতাম। তার পর হলের রেস্ট রুমে চেঞ্জ করে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ছবি দেখতে যেতাম,’’ হাসতে হাসতে বললেন নায়িকা।
অভিনেত্রী রিচার ইচ্ছে, ‘‘রেড কার্পেটে যখন হাঁটব, সকলে আমায় চিনুক। কিন্তু যখন তরকারি কিনতে যাব, লোকে না চিনলেই খুশি হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy