অনিলের অন্দরকথা। ফাইল চিত্র।
যে দিকে চোখ যায় সবুজের আরাম। জানলার কাচের গায়ে জল বেয়েও গাছের পাতার অবয়ব। তার মধ্যে নিরবিলি চার তলা বাড়ি— যেখানে অনিল কপূর ও তাঁর স্ত্রী সুনীতা কপূর। অভিনেতা পুত্র হর্ষবর্ধন কপূরও তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। সুখী পরিবারের নেপথ্যে কী ভাবে ছায়া ধরে আছে তাঁদের জুহুর বাংলো? এক বিপণন সংস্থার অনুষ্ঠানে অনিল শোনালেন সেই হৃদয়স্পর্শী গল্প।
ঘরের প্রতিটি আসবাবে ভালবাসার ছোঁয়া। থাকে থাকে বই। রং মিলিয়ে বসার জায়গা, দেওয়ালে-মেঝেতে আভিজাত্যের ছাপ— এ সব নিজের রক্ত জল করা শ্রমের ফসল, জানালেন ‘যুগ যুগ জিয়ো’-র অভিনেতা। আরও বললেন, যৌবনের স্বপ্ন ছিল এক মনের মতো বাড়ি। সুনিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগেও চেয়েছিলেন, বাড়িটা যেন বানিয়ে ফেলতে পারেন আগে।
অনুষ্ঠানে সেই সবুজে ঘেরা বিলাসবহুল বাসভবন ঘুরিয়ে দেখালেন অনিল। টেরেসে গাছের সাজ। কাঠের ফ্রেমের চেয়ারে রং মিলিয়ে সবুজ কুশন। মাঝে ছোট্ট চা-টেবিল, সাদা রঙের। সবুজ আর মাটির রঙের বিভিন্ন সজ্জার উপকরণে স্বর্গীয় হয়ে উঠেছে তাঁদের ছোট্ট ছাদ। এক দিকের স্বচ্ছ দেওয়ালে নীল আকাশ এবং গাছগাছালির হাতছানি। সেই মায়াবী পরিবেশে দাঁড়িয়ে জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা বললেন অনিল। তাঁর কথায়, “এই বাড়ির প্রত্যেকটা ইট, পাথর— প্রতিটি জিনিস পরিশ্রম করে অর্জন করা। অনেক ঘাম, অনেক রক্ত জল হয়েছে আমার, তবু জোর গলায় বলতে পারি কোনও কারচুপি, দুর্নীতির ছায়া নেই এতে। অসৎ পথে লিপ্ত থাকতে হয়নি।” নিজের মনোরম ছোট ঘরটিও ঘুরিয়ে দেখান পরম মমতায়।
কাঠের সিলিং। কালো কাঠের আসবাব। ক্যামেরা ঘুরে যায় অনিলের সাধের নীড়ের সর্বত্র। টেবিলে রাখা চিত্রনাট্যের স্তুপও যেন হাতে আঁকা ছবি। আগামীর স্বপ্ন। যেন যৌবনের কঠোর অধ্যায়ে এখনও নিজের শিকড় গেঁথে রেখেছেন অনিল। তাই বর্তমান এত মায়াবী লাগে। শিশুর মতো হাসেন অনিল। আর জানান, সুনিতা আর তাঁর মা গাছ ভালবাসেন। সে কারণেই বাড়ির অনেকখানি গাছে ভরা। আগামী দিনে ‘ফাইটার’ এবং ‘আনিম্যাল’ ছবিতে দেখা যাবে অনিলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy