পাঁচটি সিরিজ আর একটি ছবির পরে অনির্বাণ চক্রবর্তীই এখন মানুষের মনে একেনবাবুর চেহারা নিয়েছেন।
গল্পের একেনবাবুর রোগাসোগা চেহারা। মাথাভর্তি চুল। গোমড়া মুখে চিন্তার ভাঁজ। বইয়ের প্রচ্ছদে সে ছবি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা সিরিজের একেনবাবুকে দেখে শুরুতে মেলাতে পারেননি। পর্দায় তার গোলগাল চেহারা। মোটা গোঁফ। মজাদার দিলখোলা মানুষ। মাথায় টাক। কিন্তু পাঁচটি সিরিজ আর একটি ছবির পরে অনির্বাণ চক্রবর্তীই এখন মানুষের মনে একেনবাবুর চেহারা নিয়েছেন। এর ফলে একেনবাবুর নতুন গল্প লেখার সময় মুশকিলে পড়ছেন স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তও।
শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় যখন আসর জমিয়েছিলেন অনির্বাণ, আমেরিকা থেকে মন দিয়ে শুনছিলেন প্রবাসী লেখক সুজন। তাঁর চরিত্রকে টেক্কা দিয়ে তাঁকেই নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন পর্দার যে একেন, তাঁর প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, “তোমার অভিনয়ের জন্য আর পদ্মনাভর নাট্যরূপের জন্য একেনবাবুর নতুন গল্প লিখতে অসুবিধে হচ্ছে। এর সমাধান কী করে হবে?”
এমন প্রশ্নে আরও একচোট হেসে উঠলেন অনির্বাণ। বিষয়টা বুঝিয়ে দিয়ে দর্শকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন সুজনের। তাঁকে নমস্কার জানিয়ে বললেন, “বড় পাওনা, সুজনদা আমার অনুষ্ঠান দেখছেন।”
একেনবাবুর ভাল নাম একেন্দ্র সেন। সুজন-সৃষ্ট সেই সরকারি গোয়েন্দার চরিত্রে অনায়াসে মানিয়ে গিয়েছেন অনির্বাণ। চেহারা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও একেন হয়ে উঠতে যে কিছু মাত্র অসুবিধে হয়নি তা চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভর গুণ বলেই জানান অভিনেতা। হাসতে হাসতে বললেন, “সুজনদা বলছিলেন, একেনের কথা লিখতে গিয়ে এখন তাঁরও আমার মুখই মনে পড়ে। গল্পের একেনের চেহারা হারিয়ে যেতে বসেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy