মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনাম দখল করেছেন ‘লক আপ’ রিয়্যালিটি শোয়ের প্রতিযোগীরা। কখনও পায়েল রোহাতগি, কখনও বা পুনম পাণ্ডে, কখনও আবার সঞ্চালক কঙ্গনা রানাউত বিতর্কিত মন্তব্য করে দর্শকদের নজর কাড়েন। গত পর্বে নতুন গল্প শোনালেন আর এক প্রতিযোগী, অঞ্জলি অরোরা। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
অঞ্জলি অরোরা
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের দিকে এগোচ্ছে কঙ্গনা রানাউতের রিয়্যালিটি শো ‘লক আপ’। আর কয়েক দিনের মধ্যেই ঘোষণা হবে জয়ীর নাম। এই অনুষ্ঠান দর্শককে নিরাশ করেনি এক দিনের জন্যেও। মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনাম দখল করেছেন প্রতিযোগীরা। কখনও পায়েল রোহাতগি, কখনও বা পুনম পাণ্ডে, কখনও আবার সঞ্চালক কঙ্গনা রানাউতও বিতর্কিত মন্তব্য করে দর্শকদের নজর কাড়েন। গত পর্বে নতুন গল্প শোনালেন এক প্রতিযোগী, অঞ্জলি অরোরা।
অঞ্জলি এক বার ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। কেন এমন ঘটিয়েছিলেন অঞ্জলি?
অঞ্জলি তখন একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুল পালিয়ে কফিশপে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে ধরা পড়ে যান। তাঁর দাদার এক বন্ধু সেই কফিশপে তাঁকে দেখতে পেয়ে অঞ্জলির বাড়িতে জানিয়ে দেন। অঞ্জলির দাদা সোজা কফিশপে পৌঁছে যান খানিক ক্ষণের মধ্যে। সকলের সামনে বোনকে সপাটে চড় মারেন। টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে যান। বোনের কাতর আর্তিতে কান না দিয়ে তাঁদের বাবার কাছে নালিশ জানান দাদা। বাবার কাছ থেকেও ধমক খেতে হয় অঞ্জলিকে। উপরন্তু বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পড়াশোনাও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন অঞ্জলির বাবা।
এত অপমান মেনে নিতে পারেননি অঞ্জলি। সে দিনই এক বোতল ফিনাইল খেয়ে ফেলেন। অনেক ক্ষণ কেউ খেয়াল করেননি। এক ঘণ্টা পরে নজরে আসতেই বোনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন দাদা। তার পর থেকে নাকি বাবা এবং দাদা অঞ্জলিকে খুব বেশি বাধা দিতেন না কোনও কাজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy