জাতীয় মঞ্চে অরিজিৎ সিংহ গেয়ে শোনালেন লতা মঙ্গেশকরের একমুঠো বাংলা গান।
ফের খবরে অরিজিৎ সিংহ। আবারও বাংলা গর্বিত তাঁর কারণে। জাতীয় মঞ্চে গেয়ে শোনালেন লতা মঙ্গেশকরের একমুঠো বাংলা গান। হিন্দি বলয়ে তাঁর কণ্ঠে বাংলা গান শুনে বাকরুদ্ধ অনুরাগীরা। গায়কের কীর্তিতে সমালোচকেরা ফের নড়ে বসেছেন। নেটমাধ্যমে আবারও কটাক্ষের সুর, ‘গাওয়ার আগে অন্যদের মতো একবারও ‘বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান’ বলে শ্লোগান দিতে দেখা যায়নি গায়ককে!’ অরিজিতের সঙ্গে এ দিন ছিলেন দেশের তাবড় বাজনদার। তবলা বাজাতে দেখা গিয়েছে বাংলার দেবজ্যোতি মিশ্রকে।
মঙ্গলবার সন্ধেয় অরিজিৎ প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কী কী গাইলেন? পোস্ট হওয়া টুকরো টুকরো ঝলক বলছে, ‘হায় হায় প্রাণ যায়’, ‘যা রে যারে উড়ে যারে পাখি’, ‘না মন লাগে না’, ‘বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি’, ‘দে দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’-এর মতো গান। গায়কের সাজেও ছিল বৈচিত্র্য। জ্যাকেট, হারেম প্যান্ট আর পাগড়িতে শোভিত তিনি। পোশাকের মতো গানেও বৈচিত্র্য আনতে একই গানের হিন্দি সংস্করণও শুনিয়েছেন শ্রোতাদের। কিন্তু তাতে বাংলা গানের মান এতটুকু ক্ষুণ্ণ হয়নি!
গানের দুনিয়ার শীর্ষে পৌঁছেও অরিজিৎ সিংহ মাটির কাছাকাছি। ছেলেকে পড়ান নিজের গ্রাম জিয়াগঞ্জের এক স্কুলে। বাংলায় থাকলে রিকশায় চড়ে নাকি ছেলেকে স্কুলেও পৌঁছে দেন। গেট না খুললে বাকি অভিভাবকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন! জাতীয় মঞ্চে তাঁরই এমন পারফর্মেন্স বহু শ্রোতাকে নতুন করে মনে পড়িয়ে দিয়েছে সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কেকে-র কথা। অরিজিতের অনুরাগীদের স্বতঃস্ফূর্ত দাবি, ‘বিগত কয়েকটা দিন কেকে-র গান ছাড়া অন্য কোনও গান শুনতে পারিনি। বার বার ওই গানগুলো শুনছি আর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। হয়তো আগামী দিনেও হবে। তোমার কণ্ঠে এই গানগুলো শুনে ভারাক্রান্ত মনটা কিছুটা হলেও যেন ঠিকঠাক হল।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy