বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকাই মৃত্যু হয় অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের। জানা গিয়েছে, লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে শিল্পপতির মরদেহ। দিল্লিতেই হবে শেষকৃত্য। কিন্তু সেখানেই হয়েছে আর এক সমস্যা। আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকায় বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
আমেরিকার আইন অনুযায়ী, সে দেশের কোনও নাগরিকের বিদেশে মৃত্যু হলে তারা তদন্ত করে। সেই রিপোর্ট আসার পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে লন্ডনে। তাই তৈরি হয়েছে এই জটিলতা।
আরও পড়ুন:
তাই সময়ের শেষকৃত্য হতে খানিকটা দেরি হবে বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকার নাগরিক হলেও দিল্লিতে বড় হয়েছেন তিনি। তাই নিজের দেশেই হবে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। প্রয়াত শিল্পপতির মরদেহ ভারতে আনা প্রসঙ্গে তাঁর বর্তমান শ্বশুরমশাই অশোক সচদেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া এবং বৈধ কাগজপত্র হাতে পেলেই সঞ্জয়ের দেহ দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। প্রসঙ্গত, করিশ্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সঞ্জয় মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে়ন। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর দিল্লির বাসভবনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। সঞ্জয়-প্রিয়ার এক পুত্রসন্তান, নাম আজ়ারিয়াস কপূর।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সমাজমাধ্যমে মতামত জানিয়েছিলেন সঞ্জয়। লেখেন, “পৃথিবীতে আপনার সময় নির্দিষ্ট। তাই ‘কী হতে পারত’— এই ভাবনা দার্শনিকদের হাতে ছেড়ে দিন। ‘কেন হল না’— এই বিষয়ে মনোযোগী হন।” প্রয়াত শিল্পপতির এই বার্তা এখন ভাইরাল। পাশাপাশি, তিনি অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের উদ্দেশেও শোকবার্তা ভাগ করে নিয়েছিলেন। তাঁরও যে সময় শেষ, সঞ্জয় কেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং পরিচিতেরাও ঘুণাক্ষরে টের পাননি।