বয়স ওদের অনেকটাই কম। তবে নির্দেশক অভিনেতা গৌতম হালদার মনে করেন, অল্প বয়সেই যদি একটু একটু করে দায়িত্ব বুঝে নেওয়া যায়, তা হলে ভবিষ্যতে অভিনয় সফর অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এই ভাবনা থেকেই প্রতি বছর তাঁর দল ‘নয়ে নাটুয়া’ ছোটদের নিয়ে নাটকের কর্মশালা আয়োজন করছে। এ বারের কর্মশালার পোশাকি নাম ‘রকমারি নাট্য আসর’।
গত কয়েক মাস ধরেই জোর কদমে চলছে মহড়া। আনন্দবাজার অনলাইনকে গৌতম বললেন, ‘‘নির্দেশনা, পোশাক থেকে শুরু করে আলো— সবটাই ওরা করছে। আমরা বড়রা ওদের একটু বেশি স্বাধীনতা দিয়েছি। এর ফলে মঞ্চ নিয়ে ওদের দায়িত্বও অনেকটা বাড়বে বলেই আমার ধারণা।’’ মূলত কবিতা ও ছোটগল্পের উপর নির্ভর করে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট নাটক তৈরি হয়েছে। গৌতমের কথায়, ‘‘গল্প ও কবিতাকে কী ভাবে অভিনয়ে প্রকাশ করা যায়, এই ভাবনা অল্প বয়সে তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করি।’’
আরও পড়ুন:
প্রশিক্ষণের নির্যাসটুকুই ছোটদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা। সেখানে থাকছে কিছু নতুন উপস্থাপনাও। এই বার প্রায় ১০টা নাটক থাকছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘আধলা ও পয়সা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অভ্যর্থনা’, ‘ভাব ও অভাব’, ‘একান্নবর্তী’। সব মিলিয়ে দু’ঘণ্টার উপস্থাপনা।
৬ থেকে ২২ বছর, প্রায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেবে এই কর্মশালায়। আগামী ২৪ তারিখ তৃপ্তি মিত্র সভাঘরে অনুষ্ঠিত হবে ‘রকমারি নাট্য আসর’।