‘‘যাঁদের ঘরের মাটি ছাড়া প্রতিমা তৈরি হয় না, তাঁদের সম্মান জানাতে পাশে থাকতে চাই।’’
অতিমারির সময়েও যৌনকর্মীদের পাশে ছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নিজে রেশন, খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়েছিলেন কালীঘাট, সোনাগাছি সহ কলকাতার একাধিক যৌনপল্লিতে। পুজোতেও তাঁদের জন্য কিছু করতে চান তিনি। সেই ভাবনা থেকেই অভিনেতার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত অপর্ণা ফাউন্ডেশন এবং বাগধারা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একযোগে সাহায্যের হাত বাড়াতে চলেছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘‘যাঁদের ঘরের মাটি ছাড়া প্রতিমা তৈরি হয় না, তাঁদের সম্মান জানাতে পাশে থাকতে চাই। কারণ, যে কোনও শুভ বা আনন্দ অনুষ্ঠানে এঁরা ব্রাত্য। বাঙালির সেরা উৎসবে তাঁদের জন্য কিছু করতে পারলে খুব ভাল লাগবে।’’
ভাস্বর জানিয়েছেন, সোনাগাছি অঞ্চলের যৌনকর্মীদের ১২০ জন সন্তানকে দুই সংগঠন মিলে পুজোর জামা উপহার হিসেবে তুলে দেবে। ২০ জন যৌনকর্মীকে দেবে শাড়ি। ৪ অক্টোবর, মহালয়ার দু’দিন আগে এই উপহার পৌঁছে দেবেন তাঁরা।
পাশাপাশি, কাজের দিক থেকেও ব্যস্ত ভাস্বর। নতুন ছবি ‘স্ত্রীর পত্র’-র বহির্দৃশ্যের কাজ শেষ করে সদ্য ভুটান সীমান্ত থেকে ফিরেছেন। ছবির শ্যুট হয়েছে বক্সার জঙ্গলে, স্থানীয় চা বাগানে। সেখানে শাহরুখ খানের ভঙ্গিতে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ১৯৭২-এ রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে ‘স্ত্রীর পত্র’ বড় পর্দায় এনেছিলেন পূর্ণেন্দু পত্রী। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। সেই ছবির অনুষঙ্গ এই ছবিতেও থাকছে। অভিনেতার দাবি, ‘‘পূর্ণেন্দুবাবু যেখানে ছবি শেষ করেছিলেন, সেখান থেকে নতুন ভাবে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাবেন নতুন দুই পরিচালক শ্বেতা বসু এবং অয়ন সেন।’’ ছবিতে ভাস্বর ছাড়াও রয়েছেন লিলি চক্রবর্তী, জয় সেনগুপ্ত, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবণী ঘোষ প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy