গা ভর্তি পোড়া দাগ, দৃষ্টিহীন, অথচ গলায় এক অদ্ভুত মায়ামাখা মাদকতা। অবিনাশ বাউড়ি। বাড়ি বাঁকুড়ায়। রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়াল আইডল-এর মঞ্চে বিশাল-শেখরের কম্পোজিশনে, রাহাত ফতেহ আলি খানের ‘তু না জানে আস পাস হ্যায় খুদা’ ধরলেন অবিনাশ। অবিনাশের সুরের ঝঙ্কারে নেহার চোখে জল, অডিয়েন্সে পিন পড়লে শোনা যাবে এমন অবস্থা!
সোনির (আয়োজক চ্যানেলের) পক্ষ থেকে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয় মুহূর্তেই তা ভাইরাল। নেটিজেনরাও ফেটে পড়েন তারিফে। চারিদিকে হাজারও শেয়ার, লাইকের বন্যা। রাতারাতি যেন সেলিব্রিটি!
কে এই অবিনাশ বাউরি? কেনই বা তাঁকে নিয়ে এত হইচই! জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন বাঁকুড়ার ছেলেটি। আশপাশের লোকজন, ‘তথাকথিত’ বন্ধুবান্ধবদের হাসি তামাশা... এ সবই সঙ্গী ছিল নিত্যদিনের। বাবা তাঁর বরাবরই বড় কাছের। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর কী হবে তাঁর, কে দেখবে তাঁকে... এত সব ভাবতে ভাবতেই এক দিন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে ছেলেটা। নিজের গায়েই লাগিয়ে দেয় আগুন। এই সিজনে ইন্ডিয়াল আইডলের মঞ্চে এসে যখন কথাগুলো বিচারকদের কাছে শেয়ার করছিলেন তিনি, চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিশাল দাদলানি থেকে অনু মালিক। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন নেহা কক্কর।
Tu naa jaane aas paas hai khuda. Dekhiye #IndianIdol Sat-Sun at 8PM. #EkDeshEkAwaaz @iAmNehaKakkar @The_AnuMalik @VishalDadlani pic.twitter.com/QPo38RMIog
— sonytv (@SonyTV) October 14, 2019
কিন্তু নিজেকে শেষ করে দেওয়া যে কখনওই সমাধান হতে পারে না, বুঝেছেন অবিনাশ। নিজেকে দীক্ষিত করেছেন হার না-মানার মন্ত্রে। করেছেন হার না-মানার অঙ্গীকার। পাশে পেয়েছেন বাবাকে। আর উপরি পাওনা হিসেবে গলায় তো আগে থেকেই ছিল সুরের জোয়ার। অবশেষে নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদে অবিনাশ জয় করতে এসেছেন রিয়েলিটি শো-র মঞ্চ। কী বলা যায় তাঁকে? ‘বাজিগর’! ওই যে কিং খান বলেছিলেন না, ‘হার কর জিতনে ওয়ালোকো বাজিগর ক্যহতে হ্যায়’!
আরও পড়ুন: ভন্সালীর ছবিতে আলিয়ার বিপরীতে কে?
আরও পড়ুন: দুই দাম্পত্যেই নির্যাতিত, প্রথম স্বামী সঞ্জয় খানের অত্যাচারে চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত জিনাত আমনের ডান চোখ