তখন সদ্য বিচ্ছিন্ন তাঁরা। ইমতিয়াজ আলির ‘তমাশা’ ছবিতেও তার ছায়া পড়েছে। সম্ভবত সেই সময়েই কর্ণ জোহরের রিয়্যালিটি শো-তে দীপিকা পাড়ুকোন সরাসরি তোপ দেগেছিলেন রণবীর কপূরের বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক প্রতারক। তাঁকে ঠকিয়েছেন। তখনও তার ঘাড়ে ‘আরকে’ (পড়ুন রণবীর কপূর) ট্যাটু জ্বলজ্বল করছে। দীপিকা নায়কের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আনতেই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন সোনম কপূর। শোনা যায়, রণবীরের সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁরও। তখনই জানিয়েছিলেন, এই ট্যাটু দীপিকার জীবনের সব চেয়ে বড় ক্ষত।
রণবীর-দীপিকার প্রেমে পড়েন ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’ ছবির সেটে। অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে অভিনয়ের সময় তাঁদের প্রেম তুঙ্গে। সেই প্রেম ভেঙে খানখান হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। দীপিকা নিজেই কি ভাবতে পেরেছিলেন? এই সম্পর্কের জেরে তিন মাস অবসাদে ভুগতে হয়েছিল তাঁকে! তখনও তিনি ট্যাটু মোছেননি। বরং রণবীর সিংহকে বিয়ের পরেও তাঁর ঘাড়ে ‘আরকে’ লেখা ছিল।
আরও পড়ুন:
দিন কয়েক আগে রণবীরের মা নীতু কপূরের পুরনো একটি বক্তব্য ফের সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। সেখানে নীতুকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর ছেলে দীপিকার জন্য উপযুক্ত নয়! সেই কথাই শোনা গিয়েছে সোনমের মুখেও। তিনি দীপিকাকে সমর্থন করে জানিয়েছিলেন, “রণবীর ভীষণ বিষাক্ত। শুধুই মায়ের ছেলে। ওর কারণেই দীপিকার জীবন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।” বিয়েরও প্রায় বছর দুয়েক পরে দীপিকা ট্যাটু মুছতে তাই বলিউডে চর্চা শোনা গিয়েছিল, রণবীরকে ভুলতে পারছিলেন না বলেই এত দিন ধরে হয়তো ট্যাটু মুছতে পারেননি। অবশেষে কি পুরনো প্রেম থেকে বেরোতে পারলেন?