Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
salman khan

Salman Khan: 'ভাইজানের' আবেদন বাতিল, সলমনের পানভেলের প্রতিবেশীর অভিযোগেই মান্যতা দিল আদালত

কেতন কক্কড় নামে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, পানভেলের খামারবাড়ি নিয়ে খান পরিবারের কারও সম্পর্কে কোনও রকম মন্তব্য করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। সম্প্রতি সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। 

সলমনের আবেদন খারিজ আদালতে

সলমনের আবেদন খারিজ আদালতে প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২২ ১০:২৫
Share: Save:

এল না অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি। উল্টে ‘ভাইজানের’ আবেদনই খারিজ করল আদালত। বিচারক জানান, সলমন খান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁর পানভেলের প্রতিবেশী যে সমস্ত অভিযোগ এনেছিলেন, তার সাপেক্ষে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। কেতন কক্কড় নামে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, পানভেলের খামারবাড়ি নিয়ে খান পরিবারের কারও সম্পর্কে কোনও রকম মন্তব্য করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। সম্প্রতি সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন অতিরিক্ত সেশনস জজ অনিল লাধার।

সলমনের করা মানহানির মামলায় বলা হয়েছে, পানভেলের ওই প্রতিবেশী ইউটিউবে এক সাক্ষাৎকারে, পোস্ট এবং টুইটে সলমনের নামে ভুয়ো, অপপ্রচারমূলক এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন।

১৯৯৬ সালে সলমনের পানভেলের খামারবাড়ির পাশে একটি জমি কিনেছিলেন কেতন। ২০১৪ সালে অবসর গ্রহণের পর কেতন চেষ্টা করেও ওই জমিতে বসবাস শুরু করতে পারেননি। অবৈধতার অভিযোগে প্রশাসন ওই জমি কেনার প্রক্রিয়াই বাতিল করে। অভিনেতার আইনজীবীর অভিযোগ, এর পরেই কেতন দাবি করেন, সলমন ও তাঁর পরিবারের প্রভাবেই তাঁর জমি কেনার প্রক্রিয়া বেআইনি বলে ঘোষিত হয়। এবং সলমন ওই জমি বেদখল করে রয়েছেন। এর পরেই নেটমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে, ভিডিয়োয়, ইউটিউব সাক্ষাৎকারে কেতন নাকি সলমন ও খান পরিবারের সম্পর্কে নানা ধরনের মিথ্যে অভিযোগও আনেন।

কেতন দাবি করেছিলেন, সলমন ও তাঁর পরিবার বন আইন, মাথেরান ইকো সেনসিটিভ নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করেছেন। এর সপক্ষে তিনি বন দফতরকে দেওয়া চিঠি এবং বন দফতরের তরফে খান পরিবারকে জারি করা শোকজ নোটিস প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন পোস্ট ও ভিডিয়োয়। সেই সমস্ত ভিডিয়ো, টুইট ও সাক্ষাৎকার খতিয়ে দেখে আদালতের বক্তব্য, কেতন তাতে সলমন ও খান পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে নানা ধরনের তথ্য জানিয়েছেন। তা মানহানির পর্যায়ে পড়ে না। শুধু তাই নয়, কেতনের আনা অভিযোগের সপক্ষে ওই ভিডিয়ো, টুইট ইত্যাদি তথ্যপ্রমাণ বলেও জানিয়েছে আদালত। খান পরিবারের বেআইনি কাজের দিকে তিনি এ ভাবে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে আদালতের বক্তব্য। এর পাশাপাশি বিচারকের বক্তব্য, সলমনের আইনজীবী ব্যাখ্যা করতে পারেননি, কেন কেতনের এই সমস্ত তথ্য দাখিল মানহানি হিসেবে বিবেচিত হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.