দীপিকা পাড়ুকোন।
‘যুদ্ধ হোক বা ভালবাসা, আবেগ দিয়ে লড়ে গিয়েছে মস্তানি। রাস্তা যতই কঠিন হোক, নিজের গন্তব্য বেছে নিতে ভয় করেনি সে। ঝড়ে মাথা নত নয়। নিজের জায়গায় অটল সে। ভালবাসা এতই মজবুত যে তা সমাজের সব বাধা নিষেধ ভেঙে মিলন ইনে দিয়েছে’।
এই প্রেমপত্র দীপিকা লিখেছেন। নিজেকে। ‘বাজিরাও মস্তানি’-র বয়স হল ৫। ফিরে দেখলেন নায়িকা। নিজেকে মিলিয়ে দিলেন পর্দার চরিত্রের সঙ্গে। তাঁর যাত্রাপথও কি মস্তানির চেয়ে কম বন্ধুর?
লড়াই তো তিনিও করেছেন। প্রথমে দীর্ঘ অবসাদের সঙ্গে। রণবীর কপূরের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নিজেকে ফের নতুন ভাবে গড়েছেন তিনি। এর পর জীবনে বসন্ত আসে আরেক রণবীর হয়ে। ভালবাসায় নিজেকে গুছিয়ে ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত, দুই জীবনেই সাফল্য তখন। এর পর ফের নতুন বিতর্ক। অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের মাদকযোগের তদন্ত হলে উঠে আসে তাঁর নাম। বছর খানেক আগের কর্ণ জোহরের একটি পার্টির ভিডিয়ো তাঁকে মাদকযোগের সঙ্গে যুক্ত করে ।
এর পর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তলব, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ, শিরোনাম, অবিরত ট্রোলিং। দিন তিনেক আগে তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকে পাঠায় এনসিবি। এ সবের পরেও হার মানেননি দীপিকা। নিজের জায়গায় তিনি স্থির। ঠিক যেন মস্তানি।
ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুরু করেছেন কাজ। ফিরেছেন স্বাভাবিক ছন্দে। কিছুদিন আগেই শকুন বাত্রার ছবির জন্য উড়ে গিয়েছিলেন গোয়াতে। চুটিয়ে কাজ করেছেন সেখানে।
জীবনের সব ওঠাপড়ায় পাশে পেয়েছেন ‘বাজিরাও’-কে। ভালবাসতে যখন ভয় পেয়েছিলেন, হাত ধরেছিলেন তাঁর। এনসিবির দফতরে যাওয়ার সময়ও সেই হাত ছাড়েননি রণবীর।
এমন গল্প কি রূপকথার চেয়ে কম!
আরও পড়ুন: অক্টোবরে বিয়ে, ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে এল নেহার বেবি বাম্প
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy