নিজের বিষয়ে ভুয়ো খবর শুনতে নারাজ অভিষেক-ঐশ্বর্যার কন্যা। —ফাইল চিত্র
অমিতাভ বচ্চনের নাতনির সম্পর্কে আর একটিও বিভ্রান্তিমূলক ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই রায় দিয়েছে দিল্লির হাই কোর্ট। অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ১১ বছরের কন্যা আরাধ্যার মানসিক স্বাস্থ্য কিংবা চেহারা নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করার অভিযোগে একগুচ্ছ ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আদালত।বুধবারই বচ্চন পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ২০ তারিখ ধার্য করা হয়েছিল শুনানির দিন।
বিচারপতি সি হরিশঙ্কর বলেন, “অভিযুক্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে কোনও রকম ভিডিয়ো পাবলিশ, আপলোড করা বা প্রচার করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আরাধ্যার মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের কোনও মঞ্চে থাকবে না।” শুধু তা-ই নয়, চ্যানেলগুলির মালিককে খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুগলকেও।
আদালতের আরও নির্দেশ, নাম জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে এবং অবিলম্বে অভিযোগে উল্লিখিত ইউআরএলগুলি নিষ্ক্রিয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে আদালত বলেছে, এ ধরনের সমস্ত ভিডিয়ো এবং কনটেন্টের অ্যাক্সেস ব্লক করতে। বিচারপতি জানিয়েছেন, প্রত্যেক শিশুর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সম্মান দেওয়া কর্তব্য। তারকা-সন্তান হোক বা সাধারণ ঘরের শিশু, তার মানসিক স্বাস্থ্য কিংবা শরীর নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো আইনের চোখে অপরাধ বলেই গণ্য হবে।
কৈশোরেও এখনও পা রাখেনি আরাধ্যা। তার আগেই আদালতে পা রাখল সে। অভিযোগ ছিল, এক ইউটিউব চ্যানেলে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়েছে। সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধেই নালিশ ঠুকেছে আরাধ্যা। মেয়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন বাবা অভিষেক বচ্চন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি হাই কোর্টে উঠেছিল সেই মামলা। ভবিষ্যতে আরাধ্যা যে পেশাই বেছে নিক না কেন, ক্যামেরার সামনে এখন থেকেই বেশ স্বচ্ছন্দ সে।
তবে, নিজের বিষয়ে ভুয়ো খবর শুনতে নারাজ অভিষেক-ঐশ্বর্যার কন্যা। তাই নাবালিকা হলেও নিজের জীবন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোয় রাশ টানতে আদালতের দ্বারস্থ আরাধ্যা বচ্চন। এর আগে একাধিক বার সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন কারণে ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছে আরাধ্যা। বাবা হিসাবে বার বার এ রকম ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিষেক বচ্চন। তবে, এই প্রথম নিজে কোনও পদক্ষেপ করল আরাধ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy