গণেশপুজো মানেই শারদীয়া দোরগোড়ায়। বুধবার সকাল থেকে ভাদ্রের আকাশে মেঘ-রোদের খেলা। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই শাঁখ, কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজে পুজো পুজো আমেজ। এত দিন যিনি শুধুই ‘বেওসায়ী’দের দেবতা ছিলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিনি সকলের। সাধারণ থেকে খ্যাতনামী— কমবেশি সকলেই অফিসে কিংবা বাড়িতে গণেশ আরাধনায় ব্যস্ত।
যেমন, প্রযোজক-অভিনেতা দেব। সকাল থেকে বাবার সঙ্গে তিনি গণেশপুজোয় ব্যস্ত। টকটকে লাল গোলাপ দিয়ে দেবতার আসন সাজিয়েছেন। নীল রঙের পাঞ্জাবিতে সেজে দেব নিজে হাতে আরতি করেছেন। মনে মনে কি ‘ধূমকেতু’র মতো এ বার পুজোয় ‘রঘু ডাকাত’-এর সাফল্য কামনা করলেন?
দেব আরাধনায় অপরাজিতা আঢ্য। ছবি: ফেসবুক।
ঠাকুরঘরে সারি দিয়ে সাজানো নানা দেবতা। সেখানেই স্বমহিমায় বিরাজমান পিতলের গণেশ। বাকি পুজোর মতো এ দিনের পুজোতেও দেবমূর্তিকে হলুদ গোলাপ, মালা, চন্দনে নিজের হাতে সাজিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। নিজে সেজেছেন রানি রঙের শাড়িতে। তাঁর সংগ্রহে রকমারি গণেশমূর্তি। এ দিন তাদেরও পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়েছেন তিনি।
দেবতার নৈবেদ্য সাজাতে ব্যস্ত যশ দাশগুপ্ত। ছবি: ফেসবুক।
যশ দাশগুপ্ত। প্রযোজক-অভিনেতার বাড়িতে দুর্গা বা কালীপুজো ছাড়া প্রায় সব দেবতার পুজো হয়। এ দিনও তিনি ব্যস্ত গণেশের পুজোয়। হলুদ গাঁদা, জারবেরিয়ায় সেজে উঠেছেন তাঁর আরাধ্য দেবতা। যশ এ দিন গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামায় ধোপদুরস্ত। মালা গাঁথার পর নিজে নৈবেদ্যও সাজান।
গণেশ বন্দনায় সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছিলেন, তিনি বাঙালি সাজে সেজে দেবতার পুজো করবেন। কথা রেখেছেন তিনি। খোলা চুল, সামান্য রূপটান। লাল-সাদা শাড়িতে সেজে ওঠা অভিনেত্রীর ছোট্ট গণেশ এ দিন সাড়ম্বরে পূজিত। উপস্থিত ঘনিষ্ঠরা।
নতুন বাড়িতে পুজো করলেন ঊষসী রায়। ছবি: ফেসবুক।
গণেশপুজোর দিন কি নতুন বাড়িতে ‘গৃহপ্রবেশ’ ঘটল ঊষসী রায়ের? এ দিন তাঁকে গণেশ বন্দনা করতে দেখা গিয়েছে। অভিনেত্রী সে কথা ভিডিয়ো ভাগ করে লিখেছেন। তাঁর দুধসাদা দেবমূর্তি হলুদ গাঁদায় সজ্জিত। ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’-এর নায়িকার বাস্তবে গৃহপ্রবেশ দেখে খুশি অনুরাগীরা।