তিনি বিচ্ছেদ নিয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ‘সুগার ড্যাডি’ টি শার্ট পরে বিয়ে ভাঙার সব দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টাও করেছেন। সত্যিই কি যুজবেন্দ্র চহাল-ধনশ্রী বর্মার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য একা ক্রিকেটারের স্ত্রী দায়ী? ক্রিকেটারের একের পর এক পদক্ষেপ এবং পোশাক নির্বাচন যেন পরোক্ষে ধনশ্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে! তার পরেও তিনি নীরবতা পালন করে এসেছেন। অবশেষে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরে মুখ খুললেন ধনশ্রী। ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন, এ রকম টি শার্ট কেন পরলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী! তিনি তো তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারতেন।
বিচ্ছেদের পরে যুজবেন্দ্রের এই আচরণ কতটা আহত করেছে ধনশ্রীকে? প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল এর পরেই ক্রিকেটারের প্রাক্তন স্ত্রী নীরব থাকায় প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে ধনশ্রী জানিয়েছেন, তিনি বিচ্ছেদকে সহজ ভাবে নেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের রায় ঘোষণার সময় ধনশ্রী নিজেকে সামলাতে পারেননি! ভরা আদালতেই চিৎকার করে কেঁদে ফেলেছেন! তাঁর কথায়, “মাত্র পাঁচ বছরেই বিয়ে ভেঙে গেল। কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। রায় শোনার পর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। আদালতেই চিৎকার করে উঠি।” তিনি জানান, সে দিকে ভ্রূক্ষেপ না করেই যুজবেন্দ্র সে দিন আদালত ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে উঠে আসে যুজবেন্দ্রের টি শার্ট পরার কথাও। যেখানে বড় হরফে লেখা ছিল, ‘বি ইওর ওন সুগার ড্যাডি’। যা দেখে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল, ক্রিকেটার বুঝি তাঁর বিচ্ছিন্ন স্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গেও জবাব দিয়েছেন ধনশ্রী। তাঁর কথায়, “যুজবেন্দ্র টি শার্ট না পরলেও আমার ঘাড়েই দায় চাপত। কারণ, বিচ্ছেদের জন্য সব সময় মেয়েদেরই দায়ী করা হয়।” তাঁর মতে, যুজবেন্দ্র পোশাকের মাধ্যমে আদতে তাঁর ঘাড়েই বন্দুক রাখলেন।