মনের কথা প্রকাশের এ এক আজব খেলা! কখনও পছন্দের কিছু মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করে ভাগ করে নেওয়া। কখনও খ্যাতনামীর উক্তি ধার করে মনের কথা বোঝানো। এই প্রবণতা তারকাদের অনেক দিনের। রাগ-দুঃখ, ভালবাসা, মান-অভিমান, প্রেম-অপ্রেম— সবটাই তাঁরা বুঝিয়ে দেন এ সবের মাধ্যমে। আবার প্রয়োজনে অস্বীকারও করেন!
যেমন, নুসরত জাহান। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নাকি দূরত্ব বেড়েছে তাঁর, এমনই গুঞ্জন টলিপাড়ায়। যশ-নুসরত যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যমে সে কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু নায়িকার বিখ্যাত উক্তি ধার করে মনের ভাব প্রকাশের প্রবণতা যে অন্য কথা বলছে। সোমবার তিনি ভালবাসার মানুষের থেকে প্রেমের চিঠি পেয়েছেন, এ রকম একটি গান দিয়ে কিছু মুহূর্ত ঝলক আকারে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর-ই ভিন্ন সুর।
নুসরত এ দিন লিখেছেন, “কলম তরবারির চেয়ে শক্তিশালী নয়। আবার কলম যুদ্ধ জিততে পারে না। ঠিক যেমন কবিতা লিখতে পারে না তরবারি! তাই শক্তিশালী হাত জানে, কখন কলম তুলে নিতে হবে, কখন তরবারি।” নায়িকা কবিতা লেখার মেজাজে, না কি ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাব তাঁর? জানার উপায় নেই।
টলিউডের আন্দাজ, দুই বিপরীত মেরুর অনুভূতিই বুঝি খেলা করছে নায়িকার মনে। সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই তাঁর এই ধরনের বক্তব্য।
আরও পড়ুন:
তবে কি যুদ্ধশেষে সন্ধির ইঙ্গিত দিলেন এ ভাবেই? অভিমান মুছে অনুরাগে যশ-নুসরত? এ প্রশ্নেও জবাব নেই। সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জন ছড়ানোর পরেই একই ভাবে গীতার একটি শ্লোক ভাগ করে নিয়েছিলেন নুসরত। সেখানে লেখা ছিল, ‘সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ’। যার বাংলা তর্জমা, ‘সব ধর্ম ত্যাগ করে শুধু আমার শরণাপন্ন হও।’ নায়িকা যদিও ইংরেজিতে লিখেছিলেন, ‘‘সব ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ কর। তবেই জীবনে শান্তি, স্বস্তি পাবে।’’ গীতায় এই কথাটি শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন। নুসরত কার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন?
এ দিন যশের ভাগ করে নেওয়া ছবিটিও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি হাসিমুখে ঘরে বসে। তাঁর গায়ে নতুন সকালের এক ফালি রোদের লুটোপুটি! ‘এ তো রাগ নয়, এ যে অভিমান...’, এ কথাই কি বলতে চেয়েছেন তিনিও?