তাঁর ঝুলিতে প্রেমের গল্প অফুরান। কোনও প্রেম পূর্ণতা পেয়েছে। কোনওটা পায়নি। তার পরেও তাঁর একটাই বার্তা, ‘ভালবাসা জারি থাক’। এত দিন সেখানে মানব-মানবী জুড়ে থাকত। এ বার সেখানে নিজের দেশ জায়গা করে নিতে চলেছে। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার ডট কমকে তেমনই আভাস দিলেন পরিচালক। ওই দিন তিনি শহরে, আইসিসি-র শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে পা রেখেছিলেন। তাঁকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান শাশ্বত গোয়েঙ্কা। সেই আলোচনাচক্রে তিনি বলেন, “ভালবাসার একটি ভাগ স্বদেশপ্রেম। ইচ্ছে আছে এই বিষয়ের উপরে ছবি বানানোর।” তাঁর মতে, অনেক বড় ক্যানভাসে তা হলে আরও সুন্দর করে ভালবাসার গল্প শোনাতে পারবেন। গানেও বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হবে। কাশ্মীর কি সেখানে জায়গা পাবে? ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন পরিচালক। বলেছেন, “কাশ্মীর আমার খুব পছন্দের জায়গা। স্বদেশপ্রেম নিয়ে ছবি বানালে ভূস্বর্গ সেখানে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি যে কোনও আলোচনার বিষয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়েও চর্চা চলছে দেশ জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে বলিউড তারকারাও মতামত জানাচ্ছেন। কাশ্মীরের পহেলগাঁও ঘটনার পরেই অবশ্য সরব হয়েছিলেন ইমতিয়াজ়। কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প, সেখানকার সংস্কৃতির উৎকর্ষতা নিয়ে বক্তব্যও রেখেছিলেন। সম্প্রতি, কাশ্মীরে তাঁর ‘লায়লা মজনু’র পুনর্মুক্তি ঘটিয়েছেন। ইমজিয়া়জ় এ দিন জানান, সেই ছবির সিক্যুয়েল খুব তাড়াতাড়ি আসছে।

আইসিসি-র শতবর্ষে কলকাতায় শাশ্বত গোয়েঙ্কা, ইমতিয়াজ় আলি। নিজস্ব চিত্র।
শহর কলকাতা তাঁর নিজের শহর। মনে করেন ‘জব উই মেট’ পরিচালক। এখানকার মাংস-ভাত, কচুরি, শহরের অলিগলি তাঁর বড্ড প্রিয়। কলকাতা নিয়ে তাঁর প্রচণ্ড পাগলামি। “এই শহর নিয়েও আমার অনেক স্বপ্ন, অনেক ভাবনা। বড় পর্দায় বড় করে কিছু বানাতে চাই। হয়তো এ বছরেই সেটা হবে।” সাদা-কালো চেকস, কালো ট্রাউজার। গুঁজেও পরেননি সেটি। এক মাথা সাদা-কালো চুল এলোমেলো। হাত দিয়ে সে সব সামলাতে সামলাতে সামলাতে হাসিমুখে ‘গল্পওয়ালা’ (পরিচালক নন, নিজেকে এই তকমা দিতেই ভালবাসেন) জানালেন, কলকাতা নিয়ে ছবি না বানালে তাঁর পাপ হবে!
আরও পড়ুন:
এত কিছু বানানোর পরিকল্পনা তাঁর। ভুলেও ‘যব উই মেট’, ‘লাভ আজকাল’-এর সিক্যুয়েল বানাবেন না তিনি! যতই সফল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি বানানোর চল থাকুক... প্রসঙ্গ তুলতেই স্মিত হাসলেন ইমতিয়া়জ়। নরম গলায় বললেন, “জোর করে সিক্যুয়েল বানালে ছবির জৌলুস কমে যায়। এই যে সকলে এই দুটো ছবি নিয়ে মাতামাতি করেন, সেটা আর করবেন না। তাই এই ছবিগুলোর সিক্যুয়েল কোনও দিনই বানাব না আমি।” সিক্যুয়েল বানাবেন না বলেই শাহিদ কপূর-করিনা কপূর খানকেও তাঁর আগামী কোনও ছবিতে হয়তো দেখতে পাবেন না দর্শক। তা হলে কি ২০১৫-র ‘ব্যর্থ ছবি’র তকমা পাওয়া ‘তামাশা’র পরের পর্ব দেখবেন দর্শক? অন্তত রণবীর কপূর-দীপিকা পাড়ুকোনকে ফেরান! অনুরোধ শুনে হাসি চওড়া হল। ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন ‘গল্পওয়ালা’। বললেন, “২০২৫-এ নতুন কোনও তামাশা বানাতে চাই না। তবে ছবির নায়িকা ‘তারা’র সঙ্গে ডেটের খুব ইচ্ছে। এই চরিত্রটি অভিনয় করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। চরিত্রটি আমার খুব প্রিয়।”