পরিচালকদের ‘ঘর ওয়াপসি’ জারি। পরিচালক-প্রযোজক অরিন্দম শীলের পর পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় পুরনো পরিচালক গিল্ডে (ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন) সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন পুরোনো পরিচালক গিল্ডের কোষাধ্যক্ষ শুভম দাস। তাঁর কথায়, “আমরা অনেক পুরনো, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। সেখানকার পুরনো সদস্যেরা ফিরতে চাইলে খুবই আনন্দের কথা।” এ-ও জানিয়েছেন, রাহুল সদস্যপদ ফিরে পাবেন কি না সেটা ঠিক করবেন সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্যেরা।
গত বছরের জুলাই। পরিচালক রাহুল ফেডারেশনকে না জানিয়ে বাংলাদেশে শুটিং করেছেন, এই অভিযোগে তাঁকে সাময়িক ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল ফেডারেশন। সেই সময় তাঁর সমর্থনে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নতুন পরিচালক গিল্ডের সদস্যেরা। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচাৰ্য এবং আরও অনেকে। তখন টেকনিশিয়ানেরা রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে স্থির করলে স্টুডিয়ো ফ্লোরে অচলাবস্থা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সাময়িক সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। পরে ঠিক হয়, রাহুল এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি পরিচালনা করবেন। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। রাহুলের শেষ কাজ সিরিজ় ‘দাদুর কীর্তি’।
যাঁরা সেই সময় রাহুলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাঁদের ছেড়ে পরিচালক পুরনো সংগঠনে ফিরছেন। কেন? শোনা যাচ্ছে, নতুন সংগঠনের উপর থেকে নাকি আগামী দিনে সমর্থন তুলে নেবে ফেডারেশন। সেই জন্যই রাহুলের এই পদক্ষেপ? এই প্রসঙ্গে রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। পরিচালক ফোনে অধরা। একই ভাবে সাড়া মেলেনি নতুন পরিচালক গিল্ডের সদস্যদের তরফ থেকেও।
পুরনো পরিচালক গিল্ডের কোষাধ্যক্ষ শুভমের কথায়, “নিশ্চয়ই রাহুল নিজের ভুল বুঝেছেন। হয়তো কোনও মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই তাঁর এই পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি এ-ও বলেছেন, “রাহুল আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আরও অনেক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তার মানে এই নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই সদস্যপদ ফিরে পাবেন।” তাঁর মতে, বিষয়টি পুরনো গিল্ডের কার্যকরী কমিটির সদস্যেরা বিবেচনা করে দেখবেন। এই কমিটিতে আছেন পরিচালক স্বপন সাহা, অনুপ সেনগুপ্ত, সম্পাদক শঙ্কর রায়-সহ একঝাঁক প্রবীণ পরিচালক। তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই রাহুলের ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটবে।