সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে আধ্যাত্মিক গুরু অনিরুদ্ধাচার্যের উপরে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিশা পটানির দিদি খুশবু পটানি। প্রাক্তন সেনা আধিকারিক খুশবুর জনপ্রিয়তা রয়েছে সমাজমাধ্যমেও। মাঝে মধ্যেই প্রতিবাদী মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেন তিনি। এ বারও করলেন তা-ই।
সম্প্রতি একটি ধর্মীয় সভায় বর্তমান যুগের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলেন অনিরুদ্ধাচার্য। বিয়ের আগে একত্রবাস নিয়েই চলছিল আলোচনা। সেই প্রসঙ্গে স্বঘোষিত ধর্মগুরু বলেন, আজকালকার পুরুষেরা বছর পঁচিশের মহিলাদের সঙ্গী হিসাবে খুঁজে বার করেন। কিন্তু এই মহিলারা তত দিনে চার-পাঁচ জনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন।
আরও পড়ুন:
ধর্মগুরুর এই মন্তব্যে রেগে আগুন খুশবু। তাঁকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলেও আক্রমণ করেছেন। এমনকি, অনিরুদ্ধাচার্যকে ‘দেশদ্রোহী’ ও ‘নপুংসক’ বলেও কটাক্ষ করেছেন দিশার দিদি। এই প্রসঙ্গে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, “কৃষ্ণ কিন্তু রুক্মিণীকে হরণ করে বিয়ে করেছিলেন।”
যদিও খুশবুর মন্তব্যে নাকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, অভিযোগ করেছেন নেটাগরিকের একাংশ। তাঁর দিয়ে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। যদিও খুশবু বলতে চেয়েছিলেন, প্রেম এবং স্ব ইচ্ছায় স্বনির্বাচিত ব্যক্তিকে বিয়ে করার অধিকার সে যুগেও ছিল। যদিও সমাজের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রুক্মিণীহরণ করেছিলেন কৃষ্ণ। তাঁর কথায়, “কৃষ্ণ কোনদিনও সমাজের নিয়ম মানেনি। বরাবার নিয়ম ভেঙেছেন।”
তবে যুক্তিতে মন গলার নয় নেটপাড়ার। অধিকাংশ নেটাগরিকই খুশবুকে ‘অসভ্য’ বলে দাগিয়ে দিতে চেয়েছেন। কেউ বলেছেন, ‘খুশবু কাণ্ডজ্ঞানহীন’।