সুজন দাশগুপ্তের স্মৃতিচারণে পর্দার ‘একেন’ অনির্বাণ চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আমি ভাষা হারিয়েছি। কী বলব বুঝতে পারছি না! দশ মিনিট হল খবরটা পেয়েছি। মাথার মধ্যে একই সঙ্গে গুচ্ছ গুচ্ছ স্মৃতি ভিড় করছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে সুজনবাবুকে নিয়ে কোনও কথা বলাও মুশকিল। উনি তো প্রবাসী বাঙালি। মেয়েও বাইরে থাকেন। শুনলাম, স্ত্রী এখন নাকি শান্তিনিকেতনে। আমার কাছে ওঁদের কারও নম্বর নেই। তাই যোগাযোগও করতে পারছি না। সুজনবাবুর ঠিক কী হয়েছিল সেটাও বুঝতে পারছি না। তাই আরও বেশি নিজেকে অসহায় লাগছে।
ওঁর সৃষ্ট চরিত্রের হাত ধরেই তো আমার দর্শকমহলে পরিচিতি। মনে পড়ছে, প্রথম সিজ়নের শুটিংয়ের সময় আমার সঙ্গে সুজনবাবুর প্রথম আলাপ। তার পর দাদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একেনবাবু সিরিজ়ে আমার অভিনয় দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। সে কথা আমাকে নিজমুখে একাধিক বার বলেওছিলেন। যত বার কলকাতায় এসেছেন, আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে। একসঙ্গে কত আড্ডা দিয়েছি। আসলে উনি ছিলেন খুবই মজার মানুষ। অথচ কথার মধ্যে সব সময়েই একটা বুদ্ধিমত্তার ছাপ ছিল। আমাদের বয়সের পার্থক্য থাকলেও আড্ডা দেওয়ার সময় সেটা কখনও বুঝতে দিতেন না।
এ বার তো বেশ অনেক দিনই দাদা কলকাতায় ছিলেন। বইমেলায় একেনবাবুর নতুন বই বেরোনোর কথা। জানি, সেটা নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন। একেনবাবুর সাম্প্রতিক সিজনের প্রচারপর্বেও ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। একসঙ্গে আমরা প্রচার সেরেছি, সাক্ষাৎকার দিয়েছি। গল্প করেছি। ভাবতে পারছি না দাদা আর নেই! ওঁর সঙ্গে কাটানো সময়গুলো, ওঁর থেকে পাওয়া টিপস— সব কিছুই স্মৃতি হয়ে আমার সঙ্গে রয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy