একতা
প্র: ‘নাগিন’, ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে’র পরে এখন আবার ‘কবচ’-এর সিকুয়েল। নতুন শো বানাতে কি ভয় পাচ্ছেন যে, রিমেক আর সিকুয়েলেই আস্থা রাখছেন?
উ: যখন কোনও জনপ্রিয় ধারাবাহিক আবার নতুন কাস্ট নিয়ে তৈরি করি, তখনও তো রিস্ক থাকে। মৌনীর (রায়) বদলে ‘নাগিন’-এ সুরভি জ্যোতিকে নিয়ে আসাতেও ঝুঁকি ছিল। তবে সেটা ক্যালকুলেটিভ। মৌনী ফিল্ম করার কথা ভাবছিল আর আমি ‘নাগিন’ ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্গ্রীব ছিলাম। প্রথমে ভয়ই পেয়েছিলাম যে, দর্শক হয়তো সুরভিকে মেনে নেবেন না। পরে দেখলাম, দর্শক এই ‘নাগিন’ও পছন্দ করছেন। তেমনই ‘কবচ’-এর গল্প, অভিনেতা, মেকিং... সবই আলাদা।
প্র: অনেকের অভিযোগ, আপনি শোয়ে কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেন...
উ: বিদেশের শোয়ে ড্রাগন-ড্রাকুলা দেখানো হলে আমাদের কোনও সমস্যা হয় না! আমাদের এখানেই যত সমস্যা ‘নাগিন’কে নিয়ে। ওখানে তো ভিএফএক্সেরও কত তারিফ করা হয়। মেনে নিচ্ছি যে, আমাদের বাজেট কম। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের লোককথা, পৌরাণিক গল্প নিয়েই শো বানাই, সেটা রিগ্রেসিভ হয় কী করে? শোয়ের হিরো পার্ল ভি পুরি যখনই সমস্যায় পড়ে, সুরভি এসে বাঁচিয়ে যায়... এটাই বা কোন দিক থেকে পিছিয়ে যাওয়া মানসিকতার প্রকাশ?
প্র: আপনার শো বড্ড দীর্ঘ হয়, এই অভিযোগও রয়েছে।
উ: দর্শক শো দেখা বন্ধ করলে, আমিও বানানো বন্ধ করে দেব।
প্র: কিছু দিন হল মা হয়েছেন। প্রযোজনার এত কাজ, পরিবার... সামলান কী করে?
উ: অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আমার কাজ করার কী দরকার। আসলে একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে, যদি মেয়েদের টাকায় সংসার না চলে, তা হলে তাঁদের কাজ করার দরকার কোথায়? বরং বাচ্চাকে সময় দিক! মেয়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলে সেটা অনেকেই পছন্দ করেন না। আমি কাজে ডুবে থাকি। আর ভীষণ ভাল মাল্টিটাস্কার বলে কাজ এবং সন্তান দু’ক্ষেত্রেই সময় দিতে পারি। তবে হ্যাঁ, সোশ্যাল পার্টিতে কম যাই।
প্র: সন্তানের আগমনে আপনার জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে?
উ: এখন ওর বয়স মোটে তিন মাস। মনে হয় আমি এক জন ভাল মা। যদিও বাচ্চা ন্যানির কাছেই বেশি থাকে। আমাকে হাতের মালা, রুদ্রাক্ষ, পুঁতি খুলে রাখতে হবে। না হলে বাচ্চা ব্যথা পাবে।
প্র: নিজের বায়োপিক বানানোর ইচ্ছে আছে?
উ: (হেসে) আমার এ সব বিষয়ে খুব ভয়। আমি প্রাইভেট মানুষ। ব্যক্তিগত জীবন কাউকে জানাতে চাই না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy