Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

অনীকের বর্তমান

চার বছর পর গা ঝাড়া দিয়ে উঠে ক্যামেরার পিছনে। শুরু করছেন নতুন ছবি। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ থেকে মধ্যিখানের এই আলস্য। অনীক দত্ত নানান কৌতূহলের জবাব দিলেন গৌতম ভট্টাচার্য-কে আপনি শুনেছি ঘোর ক্রিকেট ভক্ত...দ্যাটস রাইট। কেন হঠাৎ?

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

আপনি শুনেছি ঘোর ক্রিকেট ভক্ত...

দ্যাটস রাইট। কেন হঠাৎ?

আচ্ছা চেতেশ্বর পুজারা কি আপনার প্রিয় ক্রিকেটার?

না তো। প্রশ্নটায় একটা স্পিন আছে বুঝেছি। কিন্তু কোথায় ঠিক ধরতে পারছি না।

আপনার সঙ্গে পুজারার আসলে আশ্চর্য মিল। আর সেটা মন্থর
স্ট্রাইক রেটে। পুজারা গত ছ’বছরে মাত্র ৩৮ টেস্ট খেলেছেন। ৫ ওয়ানডে। আপনি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’সহ ওই রকম হিট দেওয়ার পরেও গত চার বছরে একটা মাত্র ফিল্ম।

পুজারাকে আমি পছন্দ করি। তবে মনে হয় না, আমার সঙ্গে ওর তুলনাটা খাটে বলে। আমার এমন কোনও রোল মডেল নেই যারা কম খেলে বা কম সিনেমা করে। বরঞ্চ আমার রোল মডেলরা খুব ধারাবাহিক। সমস্যাটা হল, আমি নিজে নই। আসলে আমি এমন একটা বয়সে জীবনের প্রথম ফিচার ফিল্ম বানাই, যখন কাজ কমিয়ে দেওয়ার সময়। সেই
জাভেদ আখতার বলেছিলেন না, আমি এমন একটা সময়ে কবিতা লিখতে শুরু করি, যখন লোকে লেখা ছেড়ে দেয়।

তবু গত চার বছরে কোনও ফিল্ম নেই কেন? আপনি কি অলস? নাকি যদি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’‌য়ের মতো সাফল্য পাছে না পান, সেই ভীতি?

এটা ঠিক বলেছেন যে, আমি অলস। খুব অলস। জীবনের প্রতি আমার অ্যাপ্রোচটাই একটু লেড ব্যাক। আর একটা কথা হল, মধ্যিখানে শুরু করব -করব করেও একটা ব্যক্তিগত কারণে পিছিয়ে যেতে হয়। এমনিতেও আমার বিরাট কর্মীপুরুষ হওয়ার তাগিদ নেই। আরেকটা বিচ্ছিরি প্রবণতা হল,
আমি শীতকাল ছাড়া ছবি করতে
চাই না। সো, একটা শীতকাল যদি মিস হয়ে গেল তো একটা বছর পিছনে চলে গেল।

তা-ও প্রথম ছবিতে এত আশা জাগানোর পর চার বছরে মাত্র একটা ছবি তো যথেষ্ট বিস্ময়কর।

একটা কথা আছে না, আই উইল মেক আ ফিল্ম হোয়েন আই হ্যাভ আ ফিল্ম টু মেক। আমি তখনই একটা ফিল্ম বানাব যখন বানানোর উপযুক্ত ছবি আমার মগজে থাকে।

অন্য বাঙালি ফিল্ম মেকারদের মতো আপনি ফেসবুকে নেই। টুইটারে দেখা যায় না। ছবির প্রচারে বা অন্য কোনও ইস্যুতে মতামত জানা যায় না। বিশ্বসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আপনি কি ভূতেদের সঙ্গে সহবাস করেন?

হাঃ হাঃ। আমি নিজের সঙ্গে থাকতে ভালবাসি। আমি টেক স্যাভি নই একেবারেই। আমার মধ্যে সেই ভূতের এলিমেন্টগুলো বোধহয় রয়েছে যারা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কোথাও সেঁধিয়ে গেছে। বা শহর ছেড়েই চলে যাচ্ছে। আমার তো এক এক সময় মনে হয়, যে শহরটাকে আমি এত ভাল চিনতাম, যেখানে আমি বড় হয়েছি, সেটাই এখন অন্য শহর হয়ে গেছে। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’‌য়ের উপপাদ্যই ছিল যে শহরটা হারিয়ে গিয়েছে। তার মাইন্ডসেট পুরো বদলে গিয়েছে। যে সব মানুষের কথা ভেবে এই শহরে থাকা, তারাও ভূতসদৃশ হয়ে যাচ্ছেন। আমার সেই সব ভূতেদের সঙ্গে বাস করতে বেশ লাগে।

বুঝলাম। কিন্তু আমার প্রশ্নটা ছিল আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অদৃশ্য কেন?

আমি ফেসবুকে একআধবার গিয়েছি। নিয়মিত উত্তর দিয়েছি। জন্মদিন বা অন্য কোনও উৎসবটুৎসবে সবাইকে ব্যক্তিগত ভাবে উত্তর দিতে না-পারলে দুঃখপ্রকাশও করেছি। একটা সময়ে গিয়ে আর সামলাতে পারছিলাম না। তখন আমার স্ত্রী আর মেয়েকে দায়িত্ব দিই। ওরা কিছু দিন করে হাত তুলে দেয়। বলে, তুমি নিজে করতে হলে করো, নইলে ছেড়ে দাও। তা আমি ছেড়েই দিই। সে দিন অবশ্য একটা পোস্ট করলাম। করেই বেরিয়ে এলাম। আমার কী রকম মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপারটা গারদে ঢোকার মতো। একবার ঢুকলে বন্দি হয়ে যেতে হয়। আর টুইটার ফুইটার ও সব কী আমি জানিও না।

টুইটার তো এখন প্রচারের জন্য অল ইন্ডিয়া ডিরেক্টরদের কাছেও মাস্ট।

আমি মনে করি প্রচারের দায়িত্ব তো প্রোডিউসর, পিআর এজেন্সি বা মিডিয়া — এই সব বিভিন্ন ভাগে কম বেশি থাকেই। আমি আর কেন করব? সেল্ফ প্রোমোশন দরকারও নেই আমার।

তাই?

আরে, এটা আবার হেডিং করে দেবেন না। আমি কথাটা অহঙ্কারী ভাবে বলতে চাইনি। বোঝাতে চেয়েছি এটাতে আমার রুচি নেই। আমার লক্ষ্য হল, ভাল ছবি করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস খালি প্রোমোশন করে হয় না, প্রোডাক্টটা ভাল হতে হবে। দিনের শেষে প্রোডাক্টটাই কথা বলে। প্রচার বলে না। প্রোডাক্ট যখন কথা বলে না, তখন সেটা এমনিতেই মুখ থুবড়ে পড়ে।

যা বুঝলাম, এখনও আপনি পুরোনো পৃথিবীর।

কিছুটা ওল্ড ওয়ার্ল্ড তো নিশ্চয়ই। এমন নয় যে, আশপাশে কী হচ্ছে আমি খবর রাখি না। যথেষ্ট আপডেটেড। সাম্প্রতিক কালে হোয়াটসঅ্যাপ নিতেও বাধ্য হয়েছি। কিন্তু আমার লক্ষ্য সেই এক। টেকনোলজিকে আমাকে ব্যবহার করতে দেব না। আমি টেকনোলজিকে ব্যবহার করব আমার ইচ্ছে মতো। বললাম না, টেকনোলজি একটা গারদ।

কিন্তু আপনি তো টেকনোলজিতেও নেই। তৃণমূলেও নেই।

এই রে, আবার পলিটিক্স চলে এল।

আসা তো খুব স্বাভাবিক। গোটা টালিগঞ্জ রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে গেছে। বেশির ভাগ শাসক দলের সঙ্গে। সেখানে আপনার অবস্থান আশ্চর্য নিশ্চুপ।

আমি ভাই সাতেও নেই, পাঁচেও নেই। কোনায় পড়ে আছি। আমার নিশ্চয়ই একটা রাজনৈতিক বিশ্বাস রয়েছে। সেটা ব্যালট বাক্সে প্রতিফলিত হওয়াই ভাল। পাবলিসিটি করে জানান দেওয়ার কী আছে! তা ছাড়া কারও কি কোনও ইন্টারেস্ট আছে আমাকে নিয়ে! আমাকে মঞ্চে উঠিয়ে কারও কোনও লাভ হবে বলেও মনে হয় না। আমি হলাম ওই গানটা, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।

বঙ্গভূষণ, বঙ্গরত্ন কিছু পেয়েছেন?

একবার ওরকমই একটা পুরস্কার নেওয়ার ছিল। পুরস্কারটার নাম এগজ্যাক্টলি মনে নেই। আমি গিয়ে উঠতে পারিনি। আমার এগুলোতে খুব বাধো বাধো লাগে। আমার মনেই হয় না স্পেশ্যাল কিছু করেছি বলে। সব ব্যাপারে অস্বস্তি হয়, এমনকী কেউ অটোগ্রাফ চাইলেও। এত দিনে অবশ্য লোকে আমায় ভুলেই গিয়েছে। গর্তের মধ্যে রয়েছি।

কোথায় গর্তে! বরং নভেম্বর থেকে তো আপনি পরের ছবি শুরু করে ফেলছেন।

‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ যে দিন ডাবিং শুরু করি, সে দিন প্রথম এই আইডিয়াটা মাথায় আসে। দু’-চারজন অ্যাসিসট্যান্টকে বলাতে ওরাও খুব উৎসাহ দিল। ভেবেছিলাম ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’‌য়ের পর এটাই হবে আমার দ্বিতীয় ছবি। ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ তখন আলোচনাতেই ছিল না।

এই স্ক্রিপ্টটা তখন রেডি ছিল না। গল্পটা জাস্ট মাথায় ছিল। পরে ঠিকঠাক করি। একটা কথা সবিনয়ে বলি। বিদেশি ফিল্ম মেকাররা ৩/৪ বছর নেন একটা সাবজেক্টকে আত্মস্থ করতে। তার ওপর কাজ করতে। আমি জানি এত দেরিতে ফিল্ম বানাতে শুরু করেছি যে হিউজ বডি অব ওয়ার্ক আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যেটুকু সামান্য কাজই করি, সেটা যেন আমার মতো করে ঠিকঠাক হয়।

বোঝা গেল। কিন্তু ছবিটা নিয়ে জানতে চাই।

নাম ‘মেঘনাদবধ রহস্য’। গোয়েন্দা গল্প না হয়েও একটা থ্রিলার গোছের ব্যাপার রয়েছে। সব্যসাচী চক্রবর্তী রয়েছে। তার সঙ্গে আবীর, গার্গী, বিক্রম, সায়নি, ঋ, কমলেশ্বর, কল্যাণ রায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এরা। যাকে নিয়ে গল্প সে হল সব্যসাচী। প্রযোজনা করছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। মিউজিক দেবজ্যোতি মিশ্র।

শোনা যায় আপনার যখন ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’‌য়ের হানিমুন ফেজ চলছে, তখন আপনি নিজের রেট অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দেন। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় প্রোডাকশন হাউজের কাছে দাবি করেন ৪০ লাখ টাকা। যা বাংলা বাজারে সবচেয়ে বেশি আয় করা ডিরেক্টরের চেয়েও ১৫ লাখ টাকা বেশি।

এটা আমিও শুনেছি। একটা কথা বলি, আমি যে বিজ্ঞাপনের কাজ করি, সেটা পাশে রাখলে এখানকার হায়েস্ট পেড ডিরেক্টরের টাকা নেওয়াটাও আমার কাছে মোটা আর্থিক ক্ষতি। আমার মনে হয়েছিল, একটা বড় বাজেটের ছবি হলে সার্টেন পার্সেন্টেজ আমার প্রাপ্য। আমি নিজে গল্প লিখি। স্ক্রিপ্ট করি। লিরিক্স নিয়ে মাথা ঘামাই। তা বলে সব সময় আমি বেশি চার্জ করি না। ‘আশ্চর্য প্রদীপ’
করার সময় তো আমি খুব কম পারিশ্রমিক নিয়েছি। এই ছবিতে তো আমার সিনেমাটোগ্রাফার যা টাকা নিচ্ছে আমি একই টাকা নিচ্ছি। আপনার বিশ্বাস না হলে ছবির প্রোডিউসার ফিরদৌসুল হাসানকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

আপনার জীবন তো বেশ নিয়মিত বদলেছে। আগে কেউ চিনত না। তার পর ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ এসে সব বদলে দিল। এর পর ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ ফ্লপ। এ বার আপনি কামব্যাক ছবিতে। নতুন করে ভাগ্য নির্ধারণ হবে অনীক দত্তের। বাড়তি টেনশন হচ্ছে?

নাহ, এ তো সেই মাত্রার কামব্যাক নয় যে সৌরভ দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাচ্ছে। সবাই তাকিয়ে রয়েছে কী হয় কী হয়। এটা তা নয়। কামব্যাক ব্যাপারটার মধ্যে আমি ঢুকতেই চাই না। ঢুকলেই প্রেশার। বরং প্রি-প্রোডাকশন ফেজে খুব এনজয় করছি আমার ফ্যাব ফোর-এর সঙ্গে। অভীক, অর্ঘ্য, দেবু আর চিঙ্কু। এরাই আমার রিয়েল স্টার। শুচিস্মিতা কস্টিউম ডিজাইন করছে। সব মিলে আমি খুব খুশি। টেনশন কম।

কিন্তু আপনার ডাকনামই তো প্যানিক দত্ত। সেটে নাকি এত টেনশন করেন।

সে তো পরে আমি অন্য ডিরেক্টরদের যা সব কাহিনি শুনেছি, তাতে মনে হয়েছে আমি কিছুই নই। হয়তো আমার বেলা পর্যবেক্ষণটা কিছুটা সত্যি। আমি আসলে সেটের মধ্যে একটা কথা মাথায় রাখি যে, আমরা মোটেও পিকনিক করতে সেটে যাচ্ছি না। এই যে শুনি আনন্দ করতে করতে ছবি করা। আরে ভাই, প্রথমে ভাবো দর্শক তোমার ছবিটা দেখে আনন্দ পাবে কি না? তার পর তো নিজে করবে। আরেকটা কারণে হয়তো নামটা প্রচার হয়েছে যে আমি প্রকৃতিগত ভাবে এমন নই যে, কেউ ভাল শট দিলে তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে ফেললাম। সেই অভিনেতারা হয়তো তেমনই এক্সপেক্ট করেছিল।

আরেকটা নাম আছে, কিপটে দত্ত।

এটাও এক-আধ জায়গায় কানে এসেছে। আমি কিপটে নই। কিন্তু আমি মিতব্যয়ী। এই যেমন লুক টেস্টের সময় শুনলাম সব্যসাচীকে গাড়ি পাঠাতে হবে। ওর গাড়ি নেই।
আমি বললাম, একটা গাড়ি হায়ার করে কী হবে? আমার গাড়িটাই তো রয়েছে, সেটা পাঠাও। এ বার এটা যদি কিপটে হয় তো কিপটে। আমার কথা হল, যেখানে দরকার নেই, সেখানে খামখা খরচা করতে যাব কেন? বরং এটা আমি এমন জায়গায় ঢালব, যেখানে ফিল্মের লাভ। তো এটা যদি কিপটে হয় তো কিপটে। আমাদের তো একটা বাজেটের মধ্যে কাজ করতে হয়। সেটা তো প্রতিনিয়ত মাথায় রাখতে হয়।

‘ভূতের ভবিষ্যৎ’

আপনি নিজে যেহেতু ব্যক্তিগত বিজনেস সামলান এটা বোধহয় আরও ন্যাচারালি আসে?

হতে পারে। আমার ব্যবসাতে আমিই তো প্রোডিউসর। কাজেই ওই দিকটা আমি বুঝি। আমার মাথায় রাখি। এমনকী স্ক্রিপ্ট লেখার সময়ও ওই প্রশ্নটা মাথার মধ্যে চলতে থাকে।

বাংলা ছবির প্রযোজকদের কাছে এই কিপটেমোটা কিন্তু হিউজ প্লাস। কারণ যথেষ্ট টাকাই ওঠে না। স্যাটেলাইটের বাজার খারাপ। বাংলা ছবির বাজেট কত টাকার মধ্যে থাকা উচিত বলে মনে হয়?

এ ভাবে বলা যায় না। তবে আমার ধারণা দু’ কোটির বেশি ছাড়িয়ে গেলে রিকভার করা মুশকিল। এটাই বোধহয় কাট অফ। ছবি হিট হলেও দু’ কোটির বেশি রিকভার করা ডিফিকাল্ট।

বাংলা ছবির পরিচালকদের একটা কাস্টিং করুন না। কারেন্ট ফর্মে কে এক? কে দুই?

আমি এর মধ্যে একেবারেই ঢুকতে চাই না। আমি কে রেটিং করার? আমি এমনিতে আন-ডিপ্লোমেটিক। কিন্তু এটার মধ্যে ঢোকা সত্যি খুব অন্যায়। সবাই কষ্ট করে খেটেখুটে ছবি করে।

ওকে। কারেন্ট নম্বর ওয়ান কে?

আমি জানি না নম্বর ওয়ান বলে কিছু হয় কি না।

‘বেলাশেষে’ আর ‘প্রাক্তন’য়ের পরপর ধাক্কায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কি ব্যাপারটাকে আপাতত প্রতিযোগিতাবিহীন করে দেননি? আপনি দেখেছেন ছবি দুটো?

শিবুর একটা সেন্স অব অডিয়েন্স আছে। দর্শকের পালসটা বোঝে খুব ভাল। ওর গল্প বলার ধরনটা একেবারে ওর মতো করে খুব ইন্টারেস্টিং। একই বিষয় আমি হয়তো আলাদা ভাবে ট্রিট করতাম। তাতে কিছু যায় আসে না। শিবু শিবুর মতো করে দারুণ সাকসেসফুল।

‘বেলাশেষে’র কতকগুলো জায়গা তো দারুণ ইন্টারেস্টিং। আমি কোনও ছবি নিয়ে এই ধরনের ক্রেজ খুব কম দেখেছি।

আপনি এড়িয়ে উত্তর দিয়ে দিয়ে এত সেফ খেললেন যে পাঠক না ইতিমধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে।

আমি কিন্তু মন থেকেই উত্তর দিয়েছি। শুধু অফ স্টাম্পের বাইরে যে বেশ কয়েকটা ডেলিভারি করে গেলেন, সেগুলো খেলিনি। কী দরকার?

আনাচে কানাচে

হৃদ্-কমলে: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘মুখোমুখি’র প্রথম দিনের শ্যুট। যিশু-পায়েল।ছবি: কৌশিক সরকার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anik Dutta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE