প্র: কিউ আর তুমি তো অনেক দেশে গান্ডু সার্কাস করেছো। সেই অভিজ্ঞতা কিছু বল।
নীল: আমরা অনেক ট্যুর করেছি। প্রথম ছিল নউকুচিয়াতালের এসকেপ ফেস্টিভ্যাল। পুরো ব্যান্ড নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু ঝামেলার জন্য এক সপ্তাহ আগে সবাই পিছিয়ে আসে। আমি আর কিউ শেষ পর্যন্ত যাই। ল্যাপটপ আর গিটার ব্যবহার করে দু’জনে পারফর্ম করি। তারপর প্রায় দু’-তিন বছর টানা আমরা পারফর্ম করেছি। সেটাই গান্ডুর গল্প হওয়ার কথা ছিল। আমাদের প্রথম ট্যুর ছিল পোল্যান্ডে, তারপর রোমানিয়া। এরপর অসলো ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। পুরো ব্যান্ড নিয়ে নরওয়ের পাঁচটা শহরে পারফর্ম করেছি। এরপর নিউ ইয়র্কে গিয়েছি। সাউথ এশিয়ান ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করেছি। সেখানে কিউ ওর ডকুমেন্টারি ‘সারি’ প্রদর্শন করে।
প্র: ‘তাসের দেশ’-এ তোমার ফিউশন শুনে অনেকেই চমকে গিয়েছে। আবার অনেক সমালোচনাও হয়েছে। রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে আর কাজ করতে চাও?
নীল: ‘তাসের দেশ’-এর আগে আমি রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে কিচ্ছু জানতাম না। চারপাশে শুনতাম। কিন্তু কোনও যোগ ছিল না রবীন্দ্র সঙ্গীতের সঙ্গে। কিউ আমাকে রবীন্দ্র সঙ্গীত চিনিয়েছে। কিউ এত অসাধারণ গান গায়, ও যখন আমাকে গেয়ে শোনাচ্ছিল গানগুলো তখন বুঝতে পারি কত সম্ভাবনা রয়েছে গানগুলো নিয়ে কাজ করার। ‘তাদের দেশ’-এ আমার কাজিন মিতি অধিকারীর সঙ্গে কাজ করেছি। প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করেছি। দারুণ অভিজ্ঞতা। ‘ইচ্ছে’ আমার সবচেয়ে ফেভরিট।
প্র: ‘আবার অরণ্যে’ ছবিতে তুমি গান গেয়েছিলে। কিন্তু তারপর বাংলা মূলধারার ছবিতে তোমাকে পাওয়াই যায়নি। কবে এই সব ছবিতে তোমার কাজ দেখতে পাবো?
নীল: ‘আবার অরণ্যে’তে ইংরেজি গান গেয়েছিলাম। তাই তারপর মূলধারার ছবিতে সুযোগ পাওয়ার বিশেষ প্রশ্ন ছিল না। তবে এখন কাজ করছি। ‘ভীতু’তে কাজ করলাম, ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর মিউজিক করলাম।
প্র: কমার্শিয়াল ছবিতে যেখানে জিত্ গাঙ্গুলি, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত চুটিয়ে কাজ করছেন তার থেকে তোমার কাজের ধরন একেবারেই আলাদা। তোমার কী মনে হয় বাংলা কমার্শিয়াল ছবি তোমার ধারাটা কতটা গ্রহণ করবে?
নীল: দেখ আমাকে যদি এ রকম কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে আমার ধরনটা মাথায় রেখেই দেওয়া হবে। জিত্, ইন্দ্রদীপ, অনুপম সকলেরই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমারও রয়েছে। আমি সেই গানই বানাবো যেটা আমার নিজের শুনতে ভাল লাগবে। আর আমি বাংলা কমার্শিয়াল মিউজিক শুনি। আমার ভালও লাগে।
প্র: তোমার কী মনে হয় মিডিয়া তোমাকে নিয়ে উদাসীন?
নীল: আমি এটা নিয়ে ভাবি না। প্রত্যেকটা দিন নিয়ে ভাবি। প্রত্যেকটা কাজ নিয়ে ভাবি। মিডিয়ায় আমার বন্ধুরা রয়েছে ওদের সঙ্গে মিউজিক নিয়ে আলোচনা করি। তবে সেলিব্রটি হওয়া নিয়ে মাথা ঘামাই না। হ্যাঁ, আমি অ্যাটেনশন ভালবাসি। তবে ক্ষমতা নিয়ে আমার কোনও মাথা ঘামাই না। মিডিয়ার প্রচার পেলে যেটা হয় নিজের চার্জ বাড়ানো হয়। টাকা বেশি আসে। তবে আমি খুশি।
পড়ুন সাক্ষাত্কারের প্রথম পর্ব: ‘‘তাসের দেশের মিউজিক করার আগে রবীন্দ্র সঙ্গীত জানতামই না’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy