প্রায় তিন দশকের কর্মজীবন তাঁর। প্রথম জীবনে নৃত্যপ্রশিক্ষক ছিলেন। হৃতিক রোশন থেকে সলমন খান, আমির খান, শাহরুখ খান — সকলকেই নাচতে হয়েছে তাঁর নির্দেশনায়। ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় পা রাখেন ফরাহ খান। বাণিজ্যসফল ছবি তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি ‘ভ্লগিং’ শুরু করেছেন ফরাহ। এমন সফল কর্মজীবন ছেড়ে কেন নতুন পেশা বেছে নিলেন?
আরও পড়ুন:
ফরাহ এখনও পর্যন্ত চারটি ছবি পরিচালনা করেছেন। প্রথম দু’টি সফল। পরের দুটো ছবি ‘তিস্ মার খান’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে বক্সঅফিসে। প্রযোজকের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। যদিও নৃত্যপ্রশিক্ষণের কাজ করছিলেন। ফরাহ জানান, একটা সময় যখন আর সফল ছবি দিতে পারছিলেন না, তখন বাড়িতে বসে ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা মাথায় আসে তাঁর। তিনি তাঁর বাড়ির রাঁধুনিকে নিয়ে শুরু করেন ‘ভ্লগিং’। সেটাই যেন মনে ধরে যায় দর্শকদের। ফরাহ নিজেই জানান, তিনি বর্তমানে ‘ভ্লগিং’ থেকে যা উপার্জন করেন, তা ৩০০ কোটির সিনেমার সাফল্যের থেকেও বেশি। তিনি ঠিক কতটা উপার্জন করেন, সেই বিষয়ে সরাসরি কিছু না জানালেও, ইউটিউবের ‘ব্র্যান্ড কোলাবরেশন’ করলে তাঁর পারিশ্রমিক নাকি ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা।
পরিচালনা ছেড়ে ‘ভ্লগ’ করার কারণ হিসাবে ফরাহ বলেন, ‘‘আমার ছবি চলছিল না। সেই সময়ে মনে হল ইউটিউবে চ্যানেল খুলি। আমার কাজ ভাল লেগে যায় দর্শকের। এ ছাড়াও আমার তিন ছেলেমেয়ে আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে পড়তে। সেটার বিশাল একটা খরচ রয়েছে। সেই জন্যই এই কাজটা শুরু করি।’’ ফরাহ জানান, যদি শরীর সায় দেয়, তা হলে তিনি ৮০ বছর পর্যন্ত কাজ করে যেতে চান।