কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি তাঁর পরিবার। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস গুজরাটি পরিচালক মহেশ জিরাওয়ালা জীবিত। অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় কিছুতেই মৃত্যু হতে পারে না তাঁর। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাঁর আধপোড়া বাইক পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে বন্ধ মোবাইল ফোনও। তবু মানতে নারাজ পরিবার। তাই মৃত পরিচালকের দেহ নিতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। অবশেষে দেহের ডিএনএ রিপোর্ট এসেছে হাতে। মহেশের পরিবার মানতে বাধ্য হয়েছে, তিনি নেই। শেষকৃত্যের জন্য অবশেষে পরিবারের সদস্যরা মৃতের দেহ নিতে রাজি হয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। দুর্ঘটনার পর শাহিনবাদ থেকে নিখোঁজ তিনি। মাত্র একজন যাত্রী ছাড়া প্রত্যেকে নিহত। সেই দলে গুজরাতি পরিচালকও। তাই তাঁর হদিশ মিলছিল না, জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অহমদাবাদ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৩১ জনের দেহের সঙ্গে ডিএনএর-এর রিপোর্ট মিলেছে। ২১০ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৫৫ জন ভারতীয়, ৩৬ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ, একজন কানাডিয়ান এবং নয় জন স্থানীয় নাগরিক।