এই মুহূর্তে চর্চায় গোবিন্দ ও সুনীতার দাম্পত্য জীবন। বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা পাঁচ কান হতেই অভিনেতার তরফে জানানো হয়, তাঁদের মধ্যে সব ঠিক আছে। যদিও গত কয়েক বছরে অভিনেতা-পত্নী বার বার বলেছেন তিনি ‘স্বামী’ হিসাবে নয়, মায়ের বাধ্য ‘ছেলে’ হিসাবে গোবিন্দকে বেশি পছন্দ করেন। গোবিন্দ নাকি তাঁর মায়ের অত্যন্ত বাধ্য। মদ খাওয়ার আগেও মায়ের অনুমতি নেন। এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন গোবিন্দ-পত্নী।
গোবিন্দ-সুনীতার দাম্পত্যের বয়স ৩৭ বছর পেরিয়েছে। এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে তাঁদের। মেয়ে নম্রতা ওরফে টিনা বেশ কিছু পঞ্জাবি ছবির পাশাপাশি কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ছেলে যশোবর্ধন খুব শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন বলিউডে। বহু বছর আগে সিমি গ্রেবালের সঞ্চালনায় এক অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত হয়েছিলেন গোবিন্দ। সেখানেই স্ত্রী সুনীতার এক জন্মদিনের নৈশভোজের গল্প বলেন অভিনেতা। বহু বছর বাদে সেই রাতে প্রথম বার মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে নৈশভোজ সারতে গিয়েছিলেন দু’জনে। ঘটনাচক্রে ওই হোটেলেই অতীতে ওয়েটারের কাজ চাইতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন গোবিন্দ। ফলে সেখানেই অতিথি হিসেবে যাওয়াটা বাড়তি তৃপ্তি দিয়েছিল তাঁকে। ফলে উদ্যাপনী মেজাজে ‘শ্যাম্পেন’ পান করবেন বলে ঠিক করেন দু’জনে!
আরও পড়ুন:
সুনীতা জানান, এর পরেই তাঁকে হতবাক করে দেন গোবিন্দ! সুরার বোতল খোলার আগে সটান মা-কে ফোন। মদ ছোঁয়ার আগে মায়ের অনুমতি চান অভিনেতা! অনুষ্ঠানে হাসতে হাসতে গোবিন্দ বলেন, “মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম মদ খাব, না কি খাব না? মা বলেছিলেন, মদ্যপানের অভ্যাস কিন্তু বড্ড বাজে। তবে আনন্দ করতে এসে একটুখানি ‘শ্যাম্পেন’ খাওয়ার অনুমতিও দিয়ে দিয়েছিলেন!” স্বামীর এ হেন কাণ্ডে অবাক হয়ে যান সুনীতা। পাশাপাশি তিনি এও চান যে, বড় হয়ে তাঁর সন্তানও যেন যে কোনও কিছু করার আগে মায়ের অনুমতি নেন।