হর্ষবর্ধন ও অর্জুন
বনি কপূরের পরিবার নিয়ে এ বার মুখ খুললেন অনিল কপূরের পুত্র অভিনেতা হর্ষবর্ধন। ছোট থেকে বনি-পুত্র অর্জুন কপূরকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে দেখেছেন তিনি। তাই নিজের জেঠুর ছেলেকে আদর্শ বলে মানেন হর্ষবর্ধন।
হর্ষবর্ধন একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর তুতো দাদার সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘অর্জুন আমার অনুপ্রেরণা। মানুষ হিসেবে অসামান্য সে। ওর জীবনের কথা বললে বলতে হয়, বড্ড কষ্ট সহ্য করেছে ও। খুব কঠিন সময় দেখেছে। তার পরে আজ যেই জায়গায় সে দাঁড়িয়ে, মানুষ তার জন্য তাকে কৃতিত্ব দেয় না!’’
অর্জুন যখন স্কুলে পড়েন, তখন তাঁর মাকে ছেড়ে চলে যান তাঁর বাবা। প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি কপূর। তাঁদের সন্তান জাহ্নবী কপূর ও খুশি কপূর। অর্জুনের প্রথম ছবি ‘ইশকজাদে’ মুক্তি পাওয়ার আগেই তাঁর মা অর্থাৎ বনি কপূরের প্রথম স্ত্রী মারা যান।
সোনম কপূরের ভাই বললেন, ‘‘বড় হয়ে ওঠার পথে অর্জুনকে অনেক বাধা পেরতে হয়েছে। নিজের শরীরে আমূল পরিবর্তন এনেছে সে। মা ও বোনকে ভাল রাখার জন্য রোজগার করেছে কষ্ট করে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরেই ওর মা মারা যান। অর্জুন যা পেরেছে, আমার মনে হয় না আমি ওর জায়গায় থাকলে পারতাম।’’
সপ্তাহ খানেক আগে অর্জুন নিজে তাঁর সৎ বোনদের নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জাহ্নবী ও খুশির সঙ্গে তাঁর ও তাঁর বোন অংশুলার সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘যদি বলি আমরা একটাই পরিবার, সুখী পরিবার, তা হলে মিথ্যে বলা হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন পরিবার। যারা একসঙ্গে বসবাস করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছি। এক সঙ্গে থাকলে ভাল সময় কাটাই। তাও আমরা এক হয়ে উঠিনি।’’
তা ছাড়া তিনি জানিয়েছিলেন, স্কুলের বন্ধুরা তাঁকে তাঁর ‘নতুন মা’-এর সম্পর্কে প্রশ্ন করত। উত্তর দিতে পারতেন না ছোট্ট অর্জুন। অভিনেতা জানান, যে সময়ে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে দেখতে হয়েছে তাঁকে, তখন তাঁর বাবা এক জন বিখ্যাত মানুষ। সমাজে তাঁর নাম ডাক রয়েছে। আর শ্রীদেবী তখনকার দিনে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক জন ছিলেন। তাই তাঁদের বিয়ে নিয়ে চার দিকে কথা হত। ফলে, অর্জুনের ছোটবেলায় এই ঘটনার গভীর ছাপ পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy