সমালোচনার সপাট জবাব দিয়েছেন হিরো আলম।
হিরো আলমের কি বিতর্ক লগ্নে জন্ম? বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবারকে ঘিরে প্রায় প্রতি দিনই কিছু না কিছু চর্চা! সাম্প্রতিক গুঞ্জন, দেশের শীর্ষ আদালত নাকি আইনি নোটিস পাঠিয়ে শিল্পীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো তিনি আইনি হেফাজতে। সৌজন্য, তাঁর গাওয়া গান। এই খবর আদৌ সত্যি? শনিবার সেই উত্তর নিজেই জানালেন অভিনেতা। তাঁর দাবি, তিনি কোনও আইনি নোটিস পাননি। পাশাপাশি নিজের গাওয়া গান নিয়ে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘একা হিরো আলম সঙ্গীতের সর্বনাশ করছেন? আর কেউ গানের বারোটা বাজাচ্ছেন না? যত দোষ একা আমার!’’
এ দিন তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া অহেতুক চর্চা, সমালোচনার আবারও সপাট জবাব দিয়েছেন গায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এসেছিলাম। জনতার ভিড় থেকে বাঁচতে প্রশাসন আলাদা নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেই টুকরো ঝলকের বিকৃতি ঘটিয়ে সংবাদমাধ্যমের মিথ্যে প্রচার, আমি নাকি গ্রেফতার হয়েছি!’’ আলমের পাল্টা প্রশ্ন, তিনি গ্রেফতার হলে কথা বলছেন কী করে?
এর পরেই স্বপক্ষে যুক্তি, তিনি গাইতে ভালবাসেন। তাঁর গানও অনুরাগীরা ভালবাসেন। তাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গান প্রকাশ করেন। ইদানীং তাতেও বাদ সাধছেন অন্য ইউটিউবাররা। তাঁর গান তাঁকে না জানিয়েই নিজেদের চ্যানেলে প্রকাশ করছেন। সঙ্গে আপত্তিকর মন্তব্য। শিল্পীর কথায়, ‘‘রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে সবার আপত্তি মেনে নিয়েছি। তার পরেও সেই গান ছড়িয়ে পড়ার পিছনে আমার হাত নেই।’’
হিরো আলমের আরও ক্ষোভ, তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। গায়ের রং কালো। এই নিয়েও নাকি বহু জনের আপত্তি। তাঁর বিরুদ্ধে তাই অকারণ ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। হিরো আলমের আফসোস, এগুলোর কোনওটায় তাঁর হাত নেই। একই সঙ্গে দাবি, মানুষ না ভালবাসুক, ঈশ্বর তাঁকে ভালবাসেন। তাই তিনি দুই বাংলায় খ্যাত। ঘৃণার পাশাপাশি অসংখ্য অনুরাগীও আছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy