প্রথম বার বিয়ের আসরে বসা আর প্রথম বার মঞ্চে ওঠা, সব নিয়েই শরীর আনচান করে উঠেছ অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায়ের। ভাবলেন, একটু চেকআপ করিয়ে নেওয়া ভাল। কী সব যে হচ্ছে শরীরে! বড় কোনও রোগ ধরল না তো? পরিবার সূত্রে অনেক দিনের পরিচয় চিকিৎসের সঙ্গে। তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘‘১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনেক কিছু হবে। তার আগে আসার প্রয়োজন নেই।’’ ইন্দ্রাশিস অনুরাগীদের কাছে খবর না থাকলেও চিকিৎসক জানতেন সামনেই বিয়ে। তারই লক্ষণ এ সব। তার পর বিয়ের আসরে বসলেন, সারলেন রেজিস্ট্রি। সমস্ত অস্বস্তি যেন ফুরুৎ করে উড়ে গেল। এখন খুব শান্ত লাগছে বলে জানালেন অভিনেতা। কিন্তু সামনে যে বড় পরীক্ষা! তা নিয়ে একটু আধটু পেট গুড়গুড় হচ্ছে বইকি। ফেলুদার মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির বড় দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া! ভয় হচ্ছে না? বাঙালির জন্মগত অধিকার রয়েছ ‘ফেলুদা’ ও ‘ব্যোমকেশ’-এর উপর। সমস্ত প্রত্যাশাকে কী ভাবে পূরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে অভিনেতার?
এ সমস্ত প্রশ্ন তিনি নিজেকে করেছেন আগেই। তাই উত্তরগুলোও প্রস্তুত। আনন্দবাজার ডিজিটালকে ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘‘আমি এই প্রথম মঞ্চে উঠছি। অনেক দেরিতে মঞ্চে কাজ করছি। আমার শরীরের একটা অংশ নয়, সমস্তটা সারা ক্ষণ দর্শকের সামনে উন্মুক্ত। বড় চ্যালেঞ্জ। বুঝলাম, এক জন অভিনেতার জন্য মঞ্চাভিনয়টা বড্ড প্রয়োজন। কিন্তু ভয় করছিল প্রথমে। দু’দিন আগেই বাবুদার (সন্দীপ রায়) সঙ্গে কথা বলে এলাম। এখন ভয়টা আর নেই।“
ইন্দ্রাসিশ জানালেন, সন্দীপ রায় প্রথমেই ছবি দেখতে বারণ করেছেন। কেবল বইগুলো পড়তে বলেছেন। ইন্দ্রাশিস ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করছেন বলেই যে নতুন করে সত্যজিতের ছবিগুলো দেখছিলেন, তা নয়। ফেলুদায় তো নেশা রয়েছে বাঙালির। তাই দেখা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সন্দীপ রায়ের কথায় সে সব বন্ধ করে দিলেন। সত্যজিতের কলম থেকে নতুন করে ফেলুদাকে দেখার চেষ্টা করছেন ইন্দ্রাশিস।